সিরিজসেরা শান্ত যেন আরও শানিত এক নেতা
ঠিক এই মুহূর্তে সবচেয়ে সুখী মানুষ বোধহয় নাজমুল হোসেন শান্ত। পরিপূর্ণ অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ওয়ানডে সিরিজে দেশকে নেতৃত্ব দিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাঘের মতো লড়াই করেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে শান্তর হাতে। সাগরিকার উত্তাল অশান্ত সাগরপাড়ের স্টেডিয়ামে শান্ত যদি সুখী না হোন, মুখ তবে কিসে?
শান্ত অবশ্য ভীষণ খুশি। মুশফিক রহিম যখন জয়সূচক শেষ চারটি মারলেন, শান্ত তখন আনন্দে উচ্ছ্বাসে রীতিমতো অশান্ত হয়ে পড়েন। এরপর সিরিজসেরার পুরস্কার নিতে এসে মুচকি হাসিতে জানালেন আনন্দের কথা। বরাবরের মতোই বিনয়ী শান্ত, অধিনায়ক হওয়ার পর সত্যিকার নেতা হওয়ার পথে ছুটছেন একটু একটু করে। নিজের সিরিজসেরার চেয়ে ম্যাচ জয়ে সতীর্থদের অবদানকে তুলে ধরেছেন সবার আগে।
শান্ত বলেন, ‘তামিম যেভাবে শুরুতে ব্যাটিং করেছে, সেটি আমাদের পথটা সহজ করে দেয়। মাঝখানে একটু অফট্র্যাকে গিয়েছিলাম আমরা। তবে, মুশফিক আর রিশাদ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। রিশাদ তো কাজটা খুব সহজ করে দিয়েছে। তার ব্যাটে সব শঙ্কা দূর হয়েছে। লাস্ট সিরিজটা (টি-টোয়েন্টি) আমরা জিততে পারতাম, পারিনি। কিছু ভুল ছিল। সেগুলো শুধরে ওয়ানডে সিরিজ জিততে পেরেছি।’
দুর্দান্ত দাপুটে এক জয়ে বছরের প্রথম ওয়ানডে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শান্ত সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। এর চেয়ে চমৎকার আর কীইবা হতে পারে। শানিত শান্ত আর উজ্জীবিত এক বাংলাদেশ—মিলেমিশে চমৎকার এক রসায়ন।