চায়ের শহরে এবার সাদা পোশাকের লড়াই
২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শুরু, এরপর বিশ্বকাপে ম্যাথিউসের টাইমড আউট বিতর্ক—সবমিলিয়ে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ সময়ের সাথে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। সবশেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুদলের ক্রিকেটারদের পাল্টাপাল্টি উদযাপন এই লড়াই আরও জমিয়ে তুলেছে। এবার টেস্টের পালা। সিলেটে সাদা পোশাকের লড়াইয়ে শুক্রবার মাঠে নামছে দুদল। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়।
২০২২ সালে মে মাসে সবশেষ লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যদিও ঘরের মাঠে সেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হারতে হয় শান্তদের। অবাক করার মতো বিষয় হলো লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় ২০১৭ সালে, তাও আবার শততম টেস্টে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে পরিসংখ্যানটা খুব একটা আশাব্যাঞ্জক না হলেও ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় আশাবাদী চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারলেও ওয়ানডেতে দাপুটে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। যা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
গত বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ড্র করে দারুণভাবে বছর শেষ করেছে শান্তরা। তাই বছরের প্রথম টেস্ট সিরিজে লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য।
অন্যদিকে, টেস্টে বরাবরই কঠিন প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। অতীতের মতো এবারও আধিপত্য বজায় রাখতে চায় সফরকারীরা। দল হিসেবেও লঙ্কানরা বেশ শক্তিশালী। চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা দলটির বড় শক্তির জায়গা।
সেদিক বিবেচনায় কিছুটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। চোটের কারণে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে। এর ওপর লিটন-সাদমানরাও নিজেদের চেনা ছন্দে নেই। চোটের শঙ্কায় খেলা অনিশ্চিত শরিফুলের। সবমিলিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে স্বাগতিকরা। এসব নিয়ে না ভেবে তরুণদের দিয়েই লঙ্কানদের চমকে দিতে চান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। তারা দলের আবহ পরিবর্তন করে দিয়েছে। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। শ্রীলঙ্কা অনেক ভালো দল, তাই এই সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে। আশা করি লিটন অনেক রান এনে দিবে। তবে আমরা মুশফিককে মিস করব।’
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়। আমরা সেদিকেই ফোকাস করছি। প্রস্তুতিও দারুণ হয়েছে। কন্ডিশন আমাদের জন্য কোনো বাধা নয়, কীভাবে আমরা খেলছি, সেটাই মূল বিষয়। সিলেটে ভালো একটা ম্যাচ আশা করছি।’
সিলেটে খেলা হওয়ায় এই টেস্ট হতে পারে রানবন্যার। অতীত পরিসংখ্যান সেই কথাই বলে। গত বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠে ১৫০ রানের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ২০১৮ তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে টেস্টে হেরেছিল, সেখানেও ব্যবধানটা ছিল ১৫১ রানের। তাই টস এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।