পেসার দাপটে পড়ন্ত বিকেলে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশের
সিলেট টেস্টের উইকেট হবে হাইস্কোরিং, ম্যাচের আগে এমনটা ভাবা হলেও দৃশ্যপট বেশ ভিন্ন। পেসারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট নিচ্ছেন স্পিনাররাও। সময়ের সাথে ব্যাটারদের জন্য কঠিন হচ্ছে টিকে থাকা। প্রথম দিন শেষে ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনশেষে কিছুটা স্বস্তিতে।
আজ শনিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে লঙ্কানরা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১১৯ রান তোলে সফরকারীরা। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১১ রান। ক্রিজে আছেন দুই ব্যাটার বিশ্ব ফার্নান্দো ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২৮০ রানের সংগ্রহ তাড়ায় নেমে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড নিয়ে ইনিংসের শুরুতেই হোচট খায় লঙ্কানরা। দলীয় ১৯ রানের মাথায় তরুণ পেসার নাহিদ রানার বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কা। ২০ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে চাপ সামালের চেষ্টা করেন দিমুথ করুনারত্নে। তবে, এবারও সেই রানার আঘাত। দলীয় ৩২ রানের মাথায় লিটনের হাতে ধরা পড়েন মেন্ডিস। ১০ বল খেলেও তিন রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে সফরকারীরা।
অবশ্য, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়ে সেই চাপ সামাল দেন করুনারত্নে। এই দুইজনের ২৮ রানের জুটি থামান তাইজুল। ম্যাথিউসকে আউট করে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাথিউসের বিদায়ের পর আরও বড় ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। এবার বিদায় নেন অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন করুনারত্নে। এক প্রান্ত আগলে রেখে সাবলীল ব্যাটিং করে যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এই দুইজনের ব্যাটিংয়ে ভর করে ভালো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। দিনের একেবারে শেষদিকে করুনারত্নেকে ফেরান শরিফুল। ১০১ বলে ৫২ করে ফেরেন তিনি। এরপর ফার্নান্দোকে নিয়ে দিনশেষ করেন ধনঞ্জয়া।
এর আগে, ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। তবে এক তাইজুল ছাড়া আর কেউ পারেননি সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। যার ফলে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের দল। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৪৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তাইজুল ইসলাম। এই দুইজনের জুটিতে যোগ হয় আরও ৩০ রান।
দলীয় ৮৩ রানের মাথায় ফেরেন দিপু। কুমারার বলে সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ১৮ রান। ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর লিটনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তাইজুল। এই দুইজনের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১২৪ রানের মাথায় লিটনের বিদায়ে ভাঙে প্রতিরোধ। ৪৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ১৪০ রানের মাথায় তাইজুলের বিদায়ে বড়সড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৮০ বলে ৪৭ করে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষদিকে খালেদ-শরিফুলের ব্যাটে লঙ্কানদের খুব বেশি লিড নিতে পারেনি লঙ্কানরা। ৩৫ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন তারা।