কোহলির অনবদ্য ব্যাটিং আর শেষের ঝড়ে আরসিবির জয়
রান তাড়ায় বিরাট কোহলির জুরি মেলা ভার। তার প্রমাণ দিলেন আরেকবার৷ পাঞ্জাব কিংসের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য সহজ হয়ে যায় তার ব্যাটে। ৭৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংসে ভর দিয়ে জয়ের পথ গড়ে আরসিবি। আর শেষাংশে কার্তিক- মহিপালের ব্যাটে চার বল বাকি থাকতে চার উইকেটের জয় তুলে নেয় আরসিবি।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব করে ১৭৬ রান। জবাবে ১৯.২ ওভারে .ছয় উইকেট হারিয়ে .১৭৮ রান তোলে আরসিবি।
রান তাড়ায় ফাফ ডু প্লেসিস দ্রুত বিদায় নেন। সাত বলে তিন রান করে কাগিসো রাবাদার বলে স্যাম কারানের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। অধিনায়ক ফিরে গেলেও ওপেনিংয়ে নামা বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত ইনিংস। ৪৯ বলে ১১টি চার ও দুই ছক্কায় ৭৭ রান করেন কোহলি। তবে, ব্যাট হাতে আরসিবির টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় পাঞ্জাব বোলারদের হাতে। ক্যামেরন গ্রিন ও গ্লে ম্যাক্সওয়েল দুজনই পেরেন পাঁচ বলে তিন রান করে। গ্রিনকে আউট করেন রাবাদা, ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করেন হারপ্রীত ব্রার।
শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য কোহলিদের প্রয়োজন হয় ৪৭ রান। আরসিবির ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মহিপাল লমরোর ও দিনেশ কার্তিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বেঙ্গালুরু। ১০ বলে ২৮ রানে কার্তিক এবং মহিপাল অপরাজিত থাকেন আট বলে ১৭ রানে।
পাঞ্জাবের পক্ষে রাবাদা ও ব্রার নেন দুটো করে উইকেট।
এর আগে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (২৫ মার্চ) টস জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এই রান করতে ভালো খেলেনি শেখর ধাওয়ানের দলের ওপেনিং জুটি। দলীয় ১৭ রানে ব্যক্তিগত আট রান করে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ নেন বিরাট কোহলি। অধিনায়ক ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৪৫ রান। পার্ট টাইম বোলার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনে কাত হন ধাওয়ান। তার ক্যাচও লুফে নেন কোহলি। এরপর রানের চাকা ধীর হয়।
পরবর্তীতে স্যাম কারান, জিতেশ শর্মার মাঝারি ইনিংস কিছুটা বাড়ায় রানের গতি। কারান ১৭ বলে ২৩ এবং জিতেশ খেলেন ২০ বলে ২৭ রানের ইনিংস। পাঞ্জাবের রান ১৭৬ পর্যন্ত নিতে সাহায্য করেন শশাঙ্ক সিং। আট বলে অপরাজিত ২১ রানের ক্যামিওতে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। বেঙ্গালুরুর হয়ে সিরাজ ও ম্যাক্সওয়েল দুটি করে উইকেট পান।