১০ জনের ফিলিস্তিনকেও হারাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ
গল্পটা হতে পারত অন্যরকম। জয় না হোক, অন্তত ড্রয়ের আশায় বুক বেধেছিল সবাই। ৯০ মিনিট পর্যন্ত সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচ। ৯০ মিনিটে একজন লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। স্বপ্ন ফের বাসা বাঁধে। অথচ, সেই ১০ জনের দলের বিপক্ষেই শেষ দিকে গোল খেয়ে ১-০ ব্যবধানে হার মানে বাংলাদেশ।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্বকাপ ২০২৬ প্রাক-বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের ধার বাংলাদেশ ধরে রাখে দ্বিতীয়ার্ধেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিটে তিনটি চমৎকার আক্রমণ রচিত হয় বাংলার ফুটবলারদের পা থেকে। ৫২ মিনিটে ফিলিস্তিনের রক্ষণকে ছিটকে বাম প্রান্ত দিয়ে ভেতরে প্রবেশ ঢোকেন মুজিবুর জনি। তার বল খুঁজে নেয় ফাহিমের মাথা। কিন্তু, দুর্বল হেড দিতে পারল না গোলের পরিণতি।
৫৭ মিনিটে সুযোগ পায় ফিলিস্তিন। দলটির ফরোয়ার্ড ওডে দাবাগের শট লাফিয়ে উঠে রুখে দেন মিতুল। বাংলাদেশ গোলরক্ষক এদিন ছিলেন নিজের সেরা ছন্দে। তবে, দুর্ভাগ্যবশত চোট পেয়ে ৮৩ মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তাতেই যেন অরক্ষিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের তেকাঠি। বদলি গোলরক্ষক শ্রাবণ পারলেন না শেষ দিকে গোলপোস্ট সুরক্ষিত রাখতে। যোগ করা সময়ে ফিলিস্তিন ফুটবলার মাইকেল তিরমানিনির গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৯০ মিনিটে অবশ্য সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনেও। ইসা ফয়সালের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে ওয়ান টু ওয়ানেও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারলেন না রাকিব। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলই গড়ে দেয় ভাগ্য।
এর আগে প্রথমার্ধে গোল না পেলেও প্রভাব বিস্তার করেছে স্বাগতিকরা। গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
ঘরের মাঠ, চেনা দর্শক, চেনা কন্ডিশনে বাংলাদেশ শুরু থেকেই আগ্রাসী। ভয়হীন ফুটবলে স্বাগতিকরা খুব একটা সুযোগ দেয়নি সফররতদের। ২৭ মিনিটে অসাধারণ এক আক্রমণ রচনা করেন রাকিব হোসেন৷ মাঝমাঠ থেকে একা বল টেনে ঢুকে যান প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। বামপ্রান্ত দিয়ে সাজানো আক্রমণে রাকিবের ভুলটা হয় রাইট উইংয়ে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে ক্রস না করা।
মাঝে ৩৪ ও ৩৮ মিনিটে দুটি দুর্দান্ত আক্রমণ করে ফিলিস্তিন৷ বাংলাদেশের ডি-বক্সকে ফাঁকি দিলেও মিতুল মার্মার বিশ্বস্ত হাতে জাম পড়ে বল। কখনও ঝাঁপিয়ে, কখনও লাফিয়ে দলকে বাঁচান তিনি৷ জোড়া আক্রমণের পর গা ঝাঁড়া দেয় স্বাগতিকরা। ৪৩ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার অনবদ্য আক্রমণে গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে, ফাহিমের শেষ টাচ অতটা মজবুত না হওয়ায় হতাশ হতে হয়।