ফলো-অনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
সাগরিকার উইকেট সবসময় ব্যাটিংবান্ধব। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে প্রথম ইনিংসে রান পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আর সেই রানের চাপে রীতিমত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্রুত সাত উইকেট হারিয়ে ফলো-অনের শঙ্কায় স্বাগতিকরা। ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হক।
চাপ বাড়িয়ে সাজঘরে সাকিব-লিটন
ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না বাংলাদেশের। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ সাকিব-লিটনদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। দলের বিপদ বাড়িয়ে লাঞ্চের পরই সাজঘরের পথ ধরলেন এই দুই ব্যাটার। সাকিব ১৫ ও লিটন ৪ রানে আউট হয়েছেন।
লড়াই করে ফিরলেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল
দ্বিতীয়দিন বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হওয়ার পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম। এরপর ৬১ বল খেলে ১ চারে ২২ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন। মুমিনুল হকের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়ে শান্তর বিদায়
ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকলেও টেস্ট সিরিজে বড্ড অচেনা নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না এই ব্যাটার। এবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি। যা বেশ চাপে ফেলেছে বাংলাদেশকে।
ফিফটি হাঁকিয়ে সাজঘরে জাকির
লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ৫৩১ রানের বড় সংগ্রহ তাড়ায় নেমে তৃতীয় দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। তবে, লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে ফিফটি হাঁকানো জাকিরের বিদায়ে দ্বিতীয় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। ১০৪ বলে ৫৪ রান করে বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির।
শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ের জবাবে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের পর এবার ব্যাটিংয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ। ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটার তাইজুল ইসলাম ও জাকির হাসান। স্পিন দিয়েই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। প্রথম ওভারেই আক্রমণে আসেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
শেষ বিকেলে জয়কে হারিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের
দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের পাহাড়ের পর লড়াই করছে বাংলাদেশ। শেষ ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় মিলে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন। ৪৭ রান যোগ করেন তারা। দুর্ভাগ্য দিনের শেষ ভাগে জয়কে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান লাহিরু কুমারা। ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাকি সময় আর বিপদ হতে দেননি নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল ইসলাম।
৬ ফিফটিতে ৫৩১ রানে থামলো শ্রীলঙ্কা
কামিন্দু মেন্ডিস সোজাসুজি শট খেললেন, মাটিতে গড়ানো বল ধরেই নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দিলেন তাইজুল। আসিথা ফার্নান্ডো তখনও ক্রিজের বাইরে। রানের খাতা না খুলেই আউট আসিথা। শ্রীলঙ্কা অলআউট হলো ৫৩১ রান করে। কামিন্দু ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ হলেও কারও ব্যাটে সেঞ্চুরি হয়নি। ছয় ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। টানা তৃতীয় ইনিংসে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলা কামিন্দু মেন্ডিসের দুর্ভাগ্য যে অন্য প্রান্তে আর কোনও সঙ্গী ছিল না। সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে ছিলেন তিনি, তখনই অলআউট শ্রীলঙ্কা।