ব্যাটিং দুর্দশায় বিব্রতকর হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
ওয়ানডে সিরিজের আধিপত্য টেস্ট সিরিজেও ধরে রাখবে বাংলাদেশ। ভক্তদের এমন প্রত্যাশায় গুঁড়েবালি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিলেটের পর চট্টগ্রামেও বড় হারের অপেক্ষায় স্বাগতিকরা। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪৩ রান, হাতে আছে ৩ উইকেট। যা রীতিমতো অসাধ্যই বটে।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৮ রান তোলে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ক্রিজে আছেন দুই ব্যাটার মিরাজ ও তাইজুল। মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ১০ রানে অপরাজিত।
তৃতীয় দিনশেষে ৪৫৫ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ফিফটি পূরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা খুব একটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের।
দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান মিলে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। এরপরই জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জয়। ৩২ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর আরেক ওপেনার জাকিরও ফেরেন দ্রুতই। দলীয় ৫১ রানের মাথায় বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরের পথ ধরে বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৩৯ বল খেললেও ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
পরবর্তীতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক মিলে ৪৩ রানে জুটি গড়েন। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন শান্ত। এরপর সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল। তবে, এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি মুমিনুলের বিদায়ে। দলীয় ১৩২ রানের মাথায় ৫৬ বলে ৫০ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব নেন সাকিব-লিটন। এই জুটিতে ৬১ রান যোগ হয়। এরপরই ছন্দপতন! মাত্র চার রানের ব্যবধানে ফেরেন সাকিব ও লিটন। সাকিব ৩৬ ও লিটন ৩৮ রান করেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন দিপু মিলে দিনের বাকি সময়টা পার করার চেষ্টা করেন।
তবে, এবারও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশ। দলীয় ২৪৩ রানের মাথায় বিদায় নেন দিপু। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ১৫ রান। দিপুর বিদায়ের পর তাইজুলকে নিয়ে শেষদিকে আক্রমণাত্নক ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মিরাজ।