হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গুজরাটকে হারাল পাঞ্জাব
শেষ তিন ওভারে পাঞ্জাব কিংসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। ক্রিজে তখন সেট ব্যাটার শশাঙ্ক সিং এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আশুতোষ শর্মা। দুজন মিলে লেগে পড়লেন অসাধ্য সাধনে। ১৮তম ওভারে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন দুজন। এ সময়ে বাউন্ডারি লাইনে দুটি ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয় গুজরাট টাইটান্সকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এক বল হাতে রেখে তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব।
আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মুখোমুখি হয়েছে গুজরাট ও পাঞ্জাব। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। তবে, ঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশনে ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ গড়ে গুজরাট। ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ১৯৯ রান। জবাবে ১৯.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে পাঞ্জাব।
বড় সংগ্রহের পিছু ছুটতে গিয়ে ১৩ রানে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। তাকে বোল্ড করেন উমেশ যাদব। শুরুর ধাক্কা সামলান জনি বেয়ারস্টো। ১৩ বলে ২২ করে এই ওপেনারও বিদায় নেন বোল্ড হয়ে। তাকে শিকারে পরিণত করেন নূর আহমেদ। এরপর প্রভসিমরানের ব্যাটে আশার আলো দেখে পাঞ্জাব। তবে, ২৪ বলে ৩৫ রান করে তিনিও নূরের বলে বিদায় নেন।
স্যাম কারান ও সিকান্দার রাজা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে হারের শঙ্কা চেপে ধরে পাঞ্জাবকে। কারান পাঁচ ও রাজা ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এমন অবস্থায় পাঞ্জাবের হাল ধরেন শশাঙ্ক। ২৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে। ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। শশাঙ্ককে যোগ্য সঙ্গ দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আশুতোষ। তিনি রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকাই। তার ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস দলকে জয়ের পথে অনেকটা টেনে নিয়ে যান।
গুজরাটের পক্ষে দুই উইকেট পান নূর আহমেদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা গুজরাটের শুরুটা হয়েছে দ্রুতগতির। তিন ওভারে ২৯ রান আসে ওপেনিং জুটি থেকে। ১১ রান করা ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ঋদ্ধি দ্রুত ফিরে গেলেও ব্যাটে ঝড় তুলেছেন গিল। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৯ রান। গিলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায়।
ওয়ানডাউনে নামা কেন উইলিয়ামসন ভালো ইনিংসের আভাস দিয়েও ফিরে যান ২২ বলে ২৬ রান করে। তার উইকেট নেন হারপ্রিত ব্রার। গুজরাটের রান এগিয়ে নিতে সাহায্য করেন সাই সুদর্শন। গিল ও সুদর্শন মিলে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান দলকে। ১৯ বলে ৩৩ করে হার্শাল প্যাটেলের বলে বিদায় নেন সুদর্শন।
তবে, এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে ঠিকই লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক গিল। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেন রাহুল তেওয়াটিয়া। আট বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।
পাঞ্জাবের পক্ষে রাবাদা দুটি এবং ব্রার ও প্যাটেল নেন একটি করে উইকেট।