সাদামাটা পুঁজিতেও গুজরাটকে সহজে হারাল লখনৌ
ব্যাট হাতে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি লখনৌ সুপার জায়ান্টস। বোলাররা অবশ্য সেই সংগ্রহকেই কঠিন বানিয়েছে গুজরাট টাইটান্সের জন্য। শুভমান গিলের দল পারেনি ১৬৩ রান তাড়া করতে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার মানে লখনৌর কাছে। ঘরের মাঠ একানা স্টেডিয়ামে গুজরাটের বিপক্ষে ৩৩ রানের জয় তুলে নেয় লখনৌ।
আগে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে লখনৌ। জবাবে ১৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে থামে গুজরাটের ইনিংস।
গুজরাটের সামনে লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক শুভমান গিল ও সাই সুদর্শন মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। তাতে মনে হচ্ছিল সহজেই জয় পাবে তারা। কিন্তু, ঘুরে দাঁড়ায় লখনৌর বোলাররা। ২১ বলে ১৯ করা গিলকে বোল্ড করেন যশ ঠাকুর। ২৩ বলে ৩১ করে ক্রুনাল পান্ডিয়ার শিকার হন সুদর্শন। দুই ওপেনার ফিরে গেলে রানের চাকা মন্থর হয় গুজরাটের। আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কেন উইলিয়ামসন। এক রান করে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রবি বিসনয়ীর বলে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে একে একে উইকেট হারাতে থাকে গুজরাট। লক্ষ্যটা যেন হয়ে পড়ে পাহাড়সম। বিজয় শঙ্কর ১৭ বলে ১৭, দর্শন নালকান্দে ১১ বলে ১২ রান করলেও যথেষ্ট ছিল না সেসব। ব্যর্থ হন রাহুল তেওয়াটিয়াও। এক সময় শঙ্কা তৈরি হয় গুজরাটের শতরান পার করা নিয়েও। সেটি পার করলেও থামতে হয় ১৩০ রানে।
লখনৌর পক্ষে ফাইফার নেন ঠাকুর। পান্ডিয়া পান তিন উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা লখনৌর শুরুটাও ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায় লখনৌ। চার বলে ছয় রান করে উমেশ যাদবের শিকারে পরিণত হন ডি কক। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল অবশ্য বড় ইনিংসের আভাস দিয়েছিলেন। যদিও, ৩১ বলে ৩৩ রানের মন্থর সংগ্রহে দল পিছিয়ে পড়ে। ওয়ানডাউনে নামা দেবদূত পাড়িক্কালও ফিরে যান সাত রান করে। তার উইকেটও নেন যাদব।
এরপর মার্কাস স্টয়নিস ও নিকোলাস পুরানের ব্যাটে এগিয়ে চলে লখনৌ। স্টয়নিস বিদায় নেওয়ার আগে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস কিছুটা ভীত গড়ে দেয়। সেই ভীতে দাঁড়িয়ে বাকি পথ টেনে নেন পুরান। ২২ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন এই তারকা। শেষ দিকে, আয়ুস বাদোনির ১১ বলে ২০ রান দলের সংগ্রহ ১৬০ ছাড়াতে সাহায্য করে। গুজরাটের পক্ষে যাদব ও দর্শন নালকান্দে নেন দুটি করে উইকেট।