টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ সিটির, লুনিন বীরত্বে সেমিতে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য। আরও একবার তা প্রমাণ করল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির স্বপ্নভঙ্গ করে সেমি নিশ্চিত করেছে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতার পর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে গোল করে বসেন রদ্রিগো। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বাড়ানো বলে শট নেন রদ্রিগো। প্রথম প্রচেষ্টায় তা প্রতিহত করেন এডারসন। তবে, দ্বিতীয়বার বল পেয়ে আর ভুল করেননি রদ্রিগো। এই ব্রাজিলিয়ানের গোলে লিড নেয় লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানসিটি। তবে, বক্সের ভেতর থেকে আর্লিং হলান্ডের হেড ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে শট করলেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সিলভা। এরপর ২৭তম মিনিটে দারুণ সেভে দলকে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন। বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন তিনি।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও বেশ কয়েক দফায় আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি সিটি। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের সিটিকে হতাশ করেন লুনিন। এবার জ্যাক গ্রিলিশের জোরাল ভলি ফিরিয়ে দেন তিনি।
একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে সিটি সমতায় ফেরে ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে ডি ব্রুইনের গোলে। রুডিগারের ভুলে দলকে এগিয়ে নেন এই বেলজিয়ান তারকা। এরপর অতিরিক্ত সময়েও গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। যেখানে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন।
টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে ব্যবধান গড়ে দেন লুনিন। টাইব্রেকারে সিটির হয়ে জালের দেখা পান জুলিয়ান আলভারেজ, ফিল ফোডেন ও গোলরক্ষক এডারসন। সিলভা দুর্বল শট করেন গোলরক্ষক বরাবর। কোভাচিচের শটও ঠেকিয়ে দেন লুনিন। রিয়ালের হয়ে মদ্রিচের নেওয়া প্রথম শট এডারসন ঠেকিয়ে দিলেও বাকি চার শটে গোল করেন বেলিংহ্যাম, ভাসকেস, নাচো ও রুডিগার।
গত আসরে এই মাঠেই সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সিটি। এবার পেপ গুয়ার্দিওলার দলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান থমকে গেল শেষ আটেই।