স্টয়নিসের শতকে লখনৌর কাছে চেন্নাইয়ের টানা দ্বিতীয় হার
পরপর দুই ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টের সঙ্গে হারল চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে লখনৌর মাঠে, এবার ঘরের মাঠেই পরাজয়ের তিক্ততা পেতে হলো চেন্নাইকে। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বোলারদের ব্যর্থতায় ২০০ এর বেশি রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারল না দলটি। আইপিএলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) লখনৌর কাছে ছয় উইকেটে হারতে হলো ধোনি-মুস্তাফিজদের।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ২১০ রান। জবাবে ১৯.৩ ওভারে চার উইকেটে ২১৩ রান করে লখনৌ।
২১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলেই ওপেনার কুইন্টন ডি কককে হারায় লখনৌ। তবে, এই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি চেন্নাই। ওয়ানডাউনে নামা মার্কাস স্টয়নিসের দুরন্ত এক ইনিংসে ছিটকে পড়ে তারা। ৬৩ বলে ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস।
এর অবশ্য লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই তার উইকেট তুলে নেন ফিজ। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দিয়ে এক উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। সেটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এদিন চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন কাটার মাস্টার। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান দেন, উইকেট ওই একটিই।
স্টয়নিস ছাড়াও লখনৌর জয়ে শেষ দিকে ভূমিকা রাখেন নিকোলাস পুরান। ক্যারিবিয়ান তারকার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। এতেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে এসে লখনৌর কাছে নতজানু হতে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে। চেন্নাইয়ের পক্ষে মাথিশা পাথিরানা দুটি এবং মুস্তাফিজ ও দীপক চাহার একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লখনৌ। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার অজিঙ্কা রাহানের উইকেট। তাকে বিদায় করেন ম্যাট হেনরি। দ্বিতীয় উইকেটে ডেরিল মিচেলকে নিয়ে ২৬ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন চেন্নাই দলপতি রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ১১ রান করে মিচেল ফিরে যান। তাকে ফেরান যশ ঠাকুর।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ক্রিজে এলে চেন্নাইয়ের সমর্থকরা আশা ফিরে পায়। জাদেজা এদিন ব্যর্থ হন। ১৯ বলে ১৭ রানের স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস খেলে বিদায় নেন মহসিন খানের বলে। জাদেজার বিদায়ের পর দুবেকে নিয়ে জুটি গড়েন রুতুরাজ। দুজনের ৪৭ বলে ১০৪ রানের জুটিতে চেন্নাই পায় ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ।
ইনিংসে নিজের মুখোমুখি হওয়া ৫৬ তম বলে ঠাকুরকে চার মেরে শতরান স্পর্শ করেন রুতুরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ১০৮ রানে। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজান ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার মারে। অন্যদিকে, ২২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন দুবে। মহসিনের বলে ছক্কা মেরে ফিফটির ঘরে পৌঁছান তিনি। আগ্রাসী দুবের ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কা। ২৭ বলে ৬৬ রান করে রানআউট হন তিনি।
লখনৌর পক্ষে একটি করে উইকেট পান মহসিন, হেনরি ও ঠাকুর।