বাংলাদেশের চাপ সামলে জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ
৪১ রানে নেই সাত উইকেট। আরও স্পষ্ট করে বললে ৫ রানের মধ্যেই নেই ছয় উইকেট। দল যখন এমন চাপে তখনই ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ক্লাইভ মাদাম্বে। উইকেটে তার সঙ্গী অভিজ্ঞ মাসাকাদজা। দুই ক্রিকেটারের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশের চাপ সামলে চট্টগ্রামে লড়াই জমিয়ে তুলেছে জিম্বাবুয়ে। এরই মধ্যে দলীয় রান ১০০ ছাড়িয়েছে অতিথিরা।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
এক উইকেটের হারানোর পর কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই লড়াই ভেস্তে দিয়ে সাগরিকায় দাপট দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছে লাল-সবুজের দল।
দলীয় ৩৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পরপরই বিপদে বাড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর একে একে উইকেট হারাচ্ছেই অতিথিরা। ৩৬ থেকে ৩৮—মানে মাত্র দুই রানের মধ্যেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। মোট ছয় উইকেটে চট্টগ্রামে বিপাকে জিম্বাবুয়ে।
মেহেদির উইকেটে বাংলাদেশের ভালো শুরু
সাগরিকায় টস জেতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর আস্থার প্রতিদান বোলার দিলেন শুরুতেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন শেখ মাহাদি। তার ব্রেক থ্রুতে চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টির শুরুটা ভালো হলো বাংলাদেশের।
দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রেইগ আরভিনকে শূন্যতে নিজের শিকার বানিয়ে বিদায় করেন মেহেদি।
যেমন হলো বাংলাদেশ একাদশ
বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে ছয় ব্যাটার ও তিন বোলার নিয়ে। এদর মধ্যে অলরাউন্ডার আছেন তিনজন। আজকের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ওয়ানডে ও সর্বশেষ বিপিএলে ভালো খেলা তামিমকে অভিষেকের ক্যাপ পরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ নিজেও আছেন একাদশে। তার সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন সাইফউদ্দিন।
একাদশে আছেন—নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদি, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ অভিযান শুরু বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। ঘরের মাঠে চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে আগে টস জিতে আগে বোলিং করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই সিরিজের প্রথম তিনটিই হবে সাগরিকায়, বাকি দুটি হবে মিরপুর শেরেবাংলায়।
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে মানেই বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে বাড়তি উন্মাদনা। কারণ, চেনা এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা বরাবরই প্রত্যাশা। তবে, সম্প্রতি এই উত্তাপটা খানিকটা কমেছে। কারণ, আগের মতো ধার নেই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। সাম্প্রতিক পারফর্ম বিবেচনায় পরিস্কার ফেভারিট থেকেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল।
সীমিত ওভারের এই ফরম্যাটে ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। যে পরিসংখ্যানে এগিয়ে লাল-সবুজের দল। ২০ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১৩টিতে, হার সাতটিতে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাতটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে দুদল। যেখানে তিনটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের জয় একটিতে, বাকি তিনটি শেষ হয়েছে সমতায়।