বাংলাদেশের বোলিং দাপটে অল্পতে শেষ জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ের শক্তি কমেছে ভীষণ। একই সময়ে বাংলাদেশ অন্তত তাদের তুলনায় বেশ এগিয়ে। দুদলের পার্থক্যটা চোখে পড়ল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (৩ মে) মুখোমুখি হয়েছে দুদল। আগে ব্যাট করে রীতিমতো ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং। ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় দলটি।
টস জিতে সফররতদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ককে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন শেখ মেহেদি। শূন্য রানে জিম্বাবুয়ে ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন অপর ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও ব্রায়ান বেনেট মিলে। তবে, ৩৬ থেকে ৪১—পাঁচ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
শুরুটা হয় গাম্বিকে দিয়ে। তাসকিন আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে তাকে ফেরান দেড় বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া সাইফউদ্দিন। ১৪ বলে ১৭ রান করেন গাম্বি। ৩৬ রানেই আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ১৫ বলে ১৬ করে রানআউট হন বেনেট। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে প্রথম স্লিপে লিটন দাসের ক্যাচ বানান মেহেদি। গোল্ডেন ডাকের লজ্জা নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন রাজা।
গোল্ডেন ডাকে বিদায় নেন জিম্বাবুয়ের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস। তাকে বোল্ড করেন তাসকিন। রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে রায়ান বার্লকেও গোল্ডেন ডাকের লজ্জা দেন তাসকিন। এতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে তাদের ব্যাটিং স্তম্ভ। লুক জঙ্গুয়েকে দারুণ একটি ক্যাচে ফেরান তাওহিদ হৃদয়। সাইফউদ্দিনের শর্ট ডেলিভারিতে মিডঅনে মারতে গিয়েছিলেন ২ রান করা লুক। সেখানে চমৎকারভাবে ক্যাচ লুফে নেন হৃদয়।
৪১ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে বেশ ভালো প্রতিরোধই গড়তে পেরেছে। যেখানে চোখরাঙানি দিচ্ছিল ৫০ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা, সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে দলটি। নিয়ে যায় আরও বেশ খানিকটা দূরে। অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ধীরেসুস্থে ইনিংস মেরামত করে শেষ দিকে দুজনই খেলেন হাত খুলে। জুটি ভাঙেন তাসকিন। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করা মাদান্দেকে ফেরান তাসকিন। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে রানআউট হন মাসাকাদজা।
বল হাতে সাইফউদ্দিনের প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে দারুণ। চার ওভারে ১৫ রানে তিন উইকেট পান তিন। চার ওভারে ১৪ রানে তিন উইকেট নেন তাসকিন। চার ওভারে চার ওভারে এক মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট পান মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১২৪/১০ (জয়লর্ড ১৭, আরভিন ০, বেনেট ১৬, উইলিয়ামস ০, রাজা ০, ক্লাইভ ৪৩, বার্ল ০, জঙ্গুয়ে ২, মাসাকাদজা ৩৩, মুজারাবানি ১, এনগারাভা ২; শরিফুল ৪-০-৩৭-০, মেহেদি ৪-১-১৬-২, তাসকিন ৪-০-১৪-৩, সাইফউদ্দিন ৪-০-১৫-৩, রিশাদ ৪-০-৩৭-০)।