বিশ্বকাপের আগে আরও শাণিত হচ্ছেন হৃদয়
জিম্বাবুয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিনটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিকরা। আগের দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারলেও আজ মঙ্গলবার (৭ মে) জিম্বাবুয়ে লড়েছে বুক চিতিয়ে। তবে, আলোচনার বিষয় অন্য একজন। চলমান সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। টপঅর্ডার ব্যর্থ। তিন ম্যাচের কোনোটিতে বলার মতো রানের দেখা পাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। তানজিদ তামিম প্রথম ম্যাচে অর্ধশতক করলেও পরের দুটিতে ব্যর্থ। টপঅর্ডারের এমন ভরাডুবিতে তিন ম্যাচেই হাল ধরে মিডল অর্ডার। সেখানে সবার আগে আসবে হৃদয়ের নাম।
প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়ায় হৃদয় ছিলেন অপরাজিত। প্রথমটিতে ১৮ বলে ৩৩, দ্বিতীয়টিতে করেন ২৫ বলে ৩৭। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। হৃদয় মেলে ধরেছেন নিজেকে। তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস।
তিন ম্যাচ শেষে তার রান ১২৭, বল খেলেছেন ৮১টি। চার মেরেছেন ১১টি, ছক্কা পাঁচটি। গড় স্ট্রাইক রেট ১৬০.৪৪। টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ বলা যায় অনায়াসেই। দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। একজন ব্যাটারের কাছে দলের প্রত্যাশা যা যা থাকে—পরিস্থিতির দাবি মানা, দ্রুত রান তোলা, স্ট্রাইক রেট ঠিক রাখা; এর সবই করছেন হৃদয়। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন দারুণভাবে।
আজকের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে হৃদয়ের হাতে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে চেয়েছি নিজের পরিকল্পনা মতো খেলতে। সেটি বাস্তবায়ন করতে। পিচ কিছুটা ধীরগতির ছিল, মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। তবে, ঠিকভাবে খেলতে পেরেছি।’
এমন পিচেও তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০। একটু সময় আর গতিশীল পিচে কী করতে পারেন তা আগের দুই ম্যাচে দেখিয়েছেন। গত এক বছর ধরেই বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন হৃদয়। বিশ্বকাপে যা কাজে দেবে ভীষণভাবে।