রিয়ালের জয়ের নায়ক কে এই হোসেলু?
করিম বেনজেমা, মার্কো আসেনসিও ও এডেন হ্যাজার্ডের মতো তারকারা বিদায় নেওয়ায় আক্রমণভাগকে ঢেলে সাজানোর বিকল্প ছিল না স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে হোসেলুকে দলে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ১১ বছর পর প্রিয় ক্লাবে ফিরেই স্বরূপে এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বায়ার্নের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য দুই গোল করে দলকে ফাইনালে তোলার পাশাপাশি নিজের জাত চেনালেন এই ৩৪ বছর বয়সী খেলোয়াড়।
রিয়ালের সঙ্গে সর্ম্পকটা বেশ পুরোনো হোসেলুর। প্রথম দফায় ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন হোসেলু। সেসময় তার ঠাঁই হয়েছিল ক্লাবটির যুব দলে, যা রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া নামে পরিচিত। ২০০৯-১০ মৌসুমে ধারে সেল্তা ভিগোতে খেলার পরের দুই মৌসুম তিনি ছিলেন কাস্তিয়াতে। ওই দুই মৌসুমেই তিনি হয়েছিলেন কাস্তিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা।
যুব দলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ২০১০-১১ মৌসুমে রিয়ালের মূল দলে অভিষেক হয় হোসেলুর। লা লিগায় আলমেরিয়ার বিপক্ষে বেনজেমার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে জালও খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি। রিয়াল ছাড়ার পর জার্মান বুন্দেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কয়েকটি ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন হোসেলু। কিন্তু কোথাও সফলতার দেখা পাননি।
শেষমেশ ২০১৯-২০ মৌসুমে আলাভেসে যোগ দেওয়ার পর থেকে ছন্দ খুঁজে পান এই ফুটবলার। লা লিগার দলটির হয়ে তিন মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১৩ ম্যাচে ৩৬ গোল করেন তিনি। ক্লাবের নজর কেড়ে ক্যারিয়ারের শেষদিকে এসে জায়গা করে নেন জাতীয় দলেও। গত মার্চে স্পেনের জার্সিতে অভিষেক হয় তার।
তার এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি স্প্যনিশ ক্লাব রিয়ালের। ধারে একবছরের জন্য তাকে দলে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা। চলতি মৌসুম শেষে তাকে পাকাপাকিভাবে কেনার সুযোগও রয়েছে রিয়ালের। সেই ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়ে রেখেছেন রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি।
আনচেলত্তি বলেন, ‘এখানে থেকে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই সে করছে। অসাধারণ খেলছে সে। তার মানের একজন স্ট্রাইকারকে পাওয়া আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সে আলাদা ঘরানার, সবসময়ই প্রস্তুত থাকে। যখনই মাঠে নামে, দলকে সহায়তা করে। তাকে নিয়ে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত।’