‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলে আমরা ক্রেডিট পাই না’
একটা সময় ছিল—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেও উচ্ছ্বাসে ভাসতো ক্রিকেট পাগল বাঙালিরা। ম্যাচও হতো জমজমাট। কিন্তু জিম্বাবুয়ের সেই সোনালি সময় আর নেই। নেই তেমন তারকা ক্রিকেটার, নেই ধারবাহিক ছন্দ। এমনকি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দলেও ঠাই মেলেনি দলটির। তাতে স্বাভাবিকভাবেই জৌলুস হারিয়েছে, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের লড়াই।
ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদশ। প্রত্যাশিতভাবেই সিরিজের প্রথম তিনটি জিতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবুও সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের।
এর পেছনে অবশ্য কারণ আছে যথেষ্ট। বিশ্বের ক্রিকেট এখন যে তালে এগিয়ে সেই হিসাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিকটু। বরাবরের মতোই ব্যর্থ টপঅর্ডাররা। বিশ্বের বাকি দলগুলো যখন—টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের পুঁজিকে মামুলি বানিয়ে ছাড়িয়েছে। সেখানে, স্কোরবোর্ডে দেড়শ রান তুলতেই নাভিশ্বাস উঠছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে শেষ তিন ম্যাচের স্কোর যথাক্রমে—১২৬,১৪২ ও ১৬৫। তিনটিতেই টপ অর্ডাররা আউট হয়েছেন খুব বাজেভাবে। যে টুকু রান এসেছে তাতে প্রাণের সঞ্চার দিয়েছেন তাওহিদ-মাহমুদউল্লাহরা।
এই মন্থর ব্যাটিংয়ের দেখে হতাশ দর্শকরা। তাই সিরিজ নিয়েও নেই এবার কোনো উল্লাস। বরং ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এসব সমালোচনাকে মাথায় নিয়েই আগামীকাল শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
তার আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার জানালেন, নিজেদের শতভাগ দিচ্ছেন তারা। তবুও পাচ্ছেন না ক্রেডিট।
তাসকিনের কথা, ‘আসলে যতই কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে। আমরা যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই, তখন কিন্তু আবার অন্যরকম কথা হবে, যে জিম্বাবুয়ের সাথে হারছি। জিতলে আমরা ক্রেডিট কম পাই। আবার হারলে সবাই বলবে জিম্বাবুয়ের সাথে হেরে গেছি। অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের অনেক রকম কথাই শুনতে হয়। যখন খেলতে নামি যে প্রতিপক্ষই হোক সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে ভালো হয় খারাপ হয়।’
তাসকিন মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের মূল লক্ষ্যের কথাও, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। দেখেন আমরা যারা ক্রিকেটাররা আছি, আমাদের কাজ কিন্তু যেখানেই খেলতে নামি সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করা। অনেক কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। যেমন—কন্ডিশন, অপজিশন, কার সাথে খেলতেছি, কখন খেলতেছি এসব। আমরা যারা প্লেয়ার যখনই যেখানে খেলতে নামি সেরাটা দেই। ইভেন ডিপিএলেও যখন খেলতে নামি ভালো খেলারই চেষ্টা করি।’
‘এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক। সবাই টিম ওয়াইজ, যে যার জায়গা থেকে যদি ৫/১০ ভাগ ইমপ্রুভমেন্ট নিয়ে যেতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব এবং আমাদের শুরুটাও গুরুত্বপূর্ণ হবে। উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই খেলার চেষ্টা করি, সবার মধ্যে এটাই লক্ষ্য বিশ্বকাপে কিভাবে ভালো করা যায়। এই লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছি, ট্রেনিং করছি সবাই।’