হতাশার ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে বিবর্ণ বাংলাদেশ
আক্ষেপটা ছিল টপ অর্ডার নিয়ে। আরও স্পষ্ট করে বললে—ওপেনিং জুটি ছিল মাথাব্যথার কারণ। সেই ওপেনিং জুটি যখন আশা দেখালেন তখন হতাশায় ডোবালেন বাকিরা। তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকারের শতরানের জুটি ভাঙার পর জিম্বাবুয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। হতাশার ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে দেড়শর নিচে গুঁটিয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ওপেনিংয়ে রান খরা নিয়ে কম ভুগতে হয়নি বাংলাদেশকে। একটা ভালো শুরুর জন্য লড়াইটা দীর্ঘদিনের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে সেই প্রত্যাশা রাখতে পারেননি লিটন দাস। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন সৌম্য সরকার। সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন তানজিদ তামিমও। দুই ওপেনারের উড়ন্ত শুরুর পর যা হলো তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ভক্তরাও।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১০ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪৩ রান তুলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন তানজিদ তামিম। ৩৭ বলে যা সাজানো সাত বাউন্ডারি আর এক ছক্কায়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই হাতখুলে খেলেন তামিম। সৌম্য শুরু করেন রয়েসয়ে। প্রথমে থিতু হন এরপর বল হাওয়ায় ওড়ান।
ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে গড়েন শতরানের জুটি। এর মধ্যে ৩৪ বলে তামিম পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। সৌম্যও ছুটছিলেন একই পথে। কিন্তু দুজনের ছন্দে বাঁধ সাধেন লুক জঙ্গুয়ে। দুই ওপেনারকে এক ওভারেই মাঠ ছাড়া করেন তিনি।
১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লুক জঙ্গুয়েকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তামিম। একই ওভারের শেষ বলে সৌম্যকে এলবির ফাঁদে ফেলেন জঙ্গুয়ে। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
শুরুর জুটি ভাঙার পরই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। একের পর এক উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে মাতেন ব্যাটাররা। ওয়ানডাউনে নেমে সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন তাওহিদ (১২)। এরপর উইকেটে এসেই বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। এক রানে বেনেটের বোল্ডের শিকার হন তিনি। স্কোরবোর্ডে ১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি সাকিব।
একই কায়দায় বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকেও বোল্ড করেছেন বেনেট। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শুধুই হতাশার সুর। কেউই উইকেটে এসে পারলেন না থিতু হতে। মাত্র ১১ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এমন স্বপ্নময় শুরুর পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এমন ভয়ংকর চিত্রে বেশদূর আগায়নি ইনিংস। শেষ পর্যন্ত দেড়শর নিচেই থেমে যাইয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বল হাতে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে। সমান দুটি করে নেন বেনেট ও রিচার্ড এনগার্ভা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ:১৯.৫ ওভারে ১৪৩ (তানজিদ ৫২, সৌম্য ৪১, হৃদয় ১২, শান্ত ২, সাকিব ১, জাকের ৬, রিশাদ ২, তাসকিন ০, তানজিম ৬, মুস্তাফিজ ৩, তানভির ৩*; রাজা ৪-০-২৪-১, মুজারাবানি ৩.৫-০-৩০-১, রিচার্ড ৪-০-২৭-২, বেনেট ৩-০-২০-২, জঙ্গুয়ে ৩-০-২০-৩, ফারাজ ১-০-৯-০, মাসাকাদজা ১-০-৭-০)