অচেনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনেও ভঙ্গুর বাংলাদেশ
ভেন্যু বদলেছে। বদলেছে প্রতিপক্ষও। শুধু বদলায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভয়ংকর চিত্র। ক্রিকেটে বেশ অচেনাই বলা চলে যুক্তরাষ্ট্রকে। বাংলাদেশের জন্যও অচেনা। মুখোমুখি দেখা প্রথমবার। প্রত্যাশা ছিল অপেক্ষাকৃত এই দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলবে বাংলাদেশ। ব্যাটাররা ফিরবেন রানের ছন্দে। কিন্তু সেই আশায় গুঁড়ে বালি। এই যুক্তরাষ্ট্রের সামনেও ভঙ্গুর বাংলাদেশের ব্যাটিং। স্বাগতিকদের বোলিংয়ের সামনে দেড়শর ঘরেই শেষ বাংলাদেশ।
টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রিয়ারে স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে বোলিং বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নেমে বরাবরের মতোই হতাশ করেন লিটন দাস। দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা লিটন আলি খানের বলে দ্বিতীয় ওভারেই জীবন পান। শুধু তাই নয়, একবার বেঁচে যান রান আউট থেকেও।
কিন্তু, দুবার জীবন পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না মোটেও। জসদ্বিপ সিংয়ের এলবির ফাঁদে পড়ে ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
আরেক ওপেনার সৌম্য ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সাহসী শটে দেখান আশার আলো। কিন্তু কিছুদূর না যেতে সেই আলোও নিভে যায়। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে স্টিভেন টেইলর বোলিংয়ে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ১৩ বলে ২০ রানে থামে তার ইনিংস।
অধিনায়ক শান্তর অবস্থা আরও নাজুক। একে একে ১১ বল খেললেন তিনি। না করতে পারলেন রান, না পারলেন থিতু হতে। দলকে বিপদে ফেলে মাত্র ৩ রানে ফেরেন অধিনায়ক।
৫১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দল যখন বিপদে তখন আরো হতাশা বাড়ান সাকিব আল হাসান। পাঁচে নেমে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ১২ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারলেন না বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
একের পর এক বিদায়ের মাঝে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন তাওহিদ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনিই জ্বলেছেন আশার প্রদীপ হয়ে। মাঝে ৩১ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে, তাওহিদের ব্যাটেই কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ৪৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। যা সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায়। আর শেষ দিকে নেমে ৫ বলে ৯ রান যোগ করেছেন জাকের আলি অনিক।