কোহলিদের স্বপ্ন ভেঙে কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান
হারলেই বিদায়। জিতলে টিকে থাকবে আইপিএলের ফাইনালে যাওয়ার আশা। এমন সমীকরণের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিরোধ ভাঙতে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফাফ-কোহলিদের কাঁদিয়ে আইপিএলের ফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল রাজস্থান। সহজ জয়ে নিশ্চিত করল কোয়ালিফায়ার রাউন্ড।
আইপিএলের এলিমিনিটর ম্যাচে বুধবার বেঙ্গালুরুকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান। এবার তাদের পরীক্ষাটা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে। আগামী ২৪ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হায়দ্রাবাদকে মোকাবিলা করবে রাজস্থান। ওই ম্যাচের জয়ী দলই ২৬ মে ফাইনলে লড়বে কলকাতার বিপক্ষে।
চলতি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শুরুটা ছিল হতাশাজনক। সেটি কাটিয়ে টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় দলটি। এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয় রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু এই বাধা আর কাটাতে পারেনি।
এদিন নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারেনি আরসিবি। অন্যদিকে, বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আরসিবিকে বিদায় করে দিল রাজস্থান।
আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এমন দিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আরসিবি ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে থামে ১৭২ রানে। জবাবে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে রাজস্থান। জায়গা করে নেয় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। রাজস্থানের শুরুটা হয় দারুণ। ওপেনিংয়ে দলকে ৪৬ রান এনে দেন দুই ওপেনার যশস্বী জাইসওয়াল ও টম ক্যাডমোর। ১৫ বলে ২০ রান করে লোকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হন টম। ফিফটির আশা জাগিয়ে জাইসওয়াল থামেন ৩০ বলে ৪৫ রানে। তাকে দিনেশ কার্তিকের ক্যাচ বানান ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অবশ্য বেশ তাড়াতাড়ি দুই উইকেট হারায় রাজস্থান।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ১৩ বলে ১৭ করে কর্ণ শর্মার শিকার হন। আট রান করা ধ্রুব জুরেল কাটা পড়েন রানআউটে। ১১২ রানে রাজস্থান চার উইকেট হারালে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে, ক্রিজে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শিমরন হেটমায়ার ও রিয়ান পরাগের জুটি বিপদমুক্ত করেন রাজস্থানকে। ৩৬ রানে পরাগ ফিরলে রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন হেটমায়ার। শেষ পর্যন্ত ১৪ বলে ২৬ রান করেন তিনি। আর পাওয়েল করেন ৮ বলে ১৬ রান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ওপেনিংটা খারাপ করেননি বিরাট কোহলি ও আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৪.৪ ওভারে দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৭ রান। ১৪ বলে ১৭ করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসিস।
যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে কোহলির ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৩ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ওয়ানডাউনে নামা ক্যামেরন গ্রিন করেন ২১ বলে ২৭। পাওয়েলের ক্যাচে পরিণত করে তাকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মাঝারি গতিতে ছুটতে চলা আরসিবিকে একটু করেন রজত পাতিদার। আভেশ খানের বলে রিয়ান পরাগের তালুবন্দি হওয়ার আগে চেষ্টা করেছেন ইনিংস বড় করার। রজতকে থামতে হয় ২২ বলে ৩৪ রানে। বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে চোখ ছিল সবার।
দলকে বিপদে ফেলে শূন্য হাতে ফেরেন ম্যাড ম্যাক্স। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই তার উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। দিনেশ কার্তিক ও মহিপাল লমরোর চেষ্টা করেছেন বড় সংগ্রহের দিকে দলকে নিয়ে যেতে। তবে, ১৩ বলে ১১ রান করে আভেশের শিকার হন কার্তিক। বাকি সময়টুকু লমরোর একাই লড়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ৩২ রান। রাজস্থানের পক্ষে আভেশ তিনটি এবং অশ্বিন নেন দুই উইকেট।