সেই যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এবার কী করবে বাংলাদেশ?
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে না কি ভয় পায়! আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ? বলার কারণ, অনুশীলনে নিবিড় মনযোগ এবং কঠোর পরিশ্রম। ভয়ের ভালো দিক আছে। ভয় থেকে যদি জয় করা যায়। কথায় আছে, ভয়ের পরে জয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি প্রস্তুতি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি যাচ্ছেতাই ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ হারে সিরিজ। শেষটিতে জিতে মান বাঁচায় নিজেদের। সেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা।
অনুশীলনে ক্রিকেটারদের মধ্যে আজ সোমবার (২৭ মে) বেশ দৃঢ়তা দেখা গেছে। যেটি ইতিবাচক দিক। সিরিজ হেরে যুক্তরাষ্ট্রকে আর হালকাভাবে দেখছে না বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও জিততে মরিয়া দল। তাই ম্যাচের আগেরদিন অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন সব ক্রিকেটার। বিশেষত লিটন, সৌম্য, শান্তরা বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ব্যাটিং অনুশীলনে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। তার আগে ক্রিকেটাররা ব্যস্ত নিজেদের ঝালিয়ে নিতে। ভয়ের কথা আসছে সঙ্গত কারণেই। মার্কিনিদের বিপক্ষে সিরিজ হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের মানসিকতায় ঘাটতি আছে। টানা দুই হারে আত্মবিশ্বাস ঠেকেছিল তলানিতে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি বেশ দাপটের সঙ্গেই জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে, হারানো আত্মবিশ্বাসের পুরোটা ফিরে পেতে সেটি যথেষ্ট ছিল না। বিশ্বকাপে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচটি, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, ক্রিকেটারদের মনস্তাত্ত্বিক উন্নতির জন্য বেশ কার্যকরী হতে পারে।
আগের ম্যাচগুলো ভুলে নতুনভাবে সামনের দিকে নজর দিতে পারলে আখেরে দলেরই লাভ। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের শক্তিমত্তা যাচাই করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর বিচক্ষণ হয়ে ওঠা ভীষণ জরুরি।