প্রথমার্ধে রিয়ালের বুকে কাঁপুনি ধরাল ডর্টমুন্ড
ইউরোপ তো বটেই ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহারণ—উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যার রাজা যদি রিয়াল মাদ্রিদকে বলা হয় তাহলে হয়ত ভুল বলা হবে না। কারণ, এই মঞ্চের মুকুট সর্বোচ্চ অধিকারী যে তারাই।
স্প্যানিশ ক্লাবটি এবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। এবারের প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রতিপক্ষ হিসেবে এই ডর্টমুন্ডকে পাওয়ায় রিয়াল ভক্তরা হয়ত স্বস্তির ঠেকুরই তুলেছিলেন। কিন্তু, খেলার মাঠে যে কেউই হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর। ডর্টমুন্ডও দেখিয়েছে সেই চমক।
লন্ডনের ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে প্রথমার্ধে গোল করতে দেয়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। গোলহীন থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে দুদল।
ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট বল দখল চাড়া কোনোকিছুতেই খুব বেশি চমক দেখাতে পারেনি রিয়াল। প্রথমার্ধের ৬৪ ভাগ সময় বল পায়ে রেখে মাত্র দুই বার আক্রমণে ওঠে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অন্যদিকে মাত্র ৩৬ ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে ডর্টমুন্ড আক্রমণে যায় ৮ বার। যার মধ্যে তিনটিই ছিল অনটার্গেট!
ডর্টমুন্ডের আক্রমণে প্রথমার্ধে কোণঠাসা ছিল রিয়াল। তবে, বেশকিছু সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে না পেরে অস্বস্তিতে ছিল জার্মান ক্লাবটিও। ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগটি পায় তারা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে নিকলাস ফুলক্রুগের ব্যাকপাস রিসিভ করেন ডর্টমুন্ডের হুলিয়ান ব্রান্ট। এরপর বল নিয়ে ভেতরে ঢুকলেও পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। ব্রান্ট দূর্বল শট নিলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
সাত মিনিট পর আবাও ডর্টমুন্ডের সুযোগ। তবে, এবারও মিস! রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে একা পেয়েও লিড আনতে পারেননি করিম আদেয়েমি। এরপর ২৩তম মিনিটে ফুলক্রুগের পা ছোঁয়া শট গোলবার থেকে ফিরে আসলে আবারও গোলহীন থাকে জার্মান ক্লাবটি।
বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আরেকবার আক্রমণে যায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু এবার মার্সেল সাবিটজারের দূর পাল্লার শট ঠেকিয়ে রিয়ালকে রক্ষা করেন কোর্তয়া। ফলে গোলহীন থেকেই বিরতিতে যেতে হয় জার্মান ক্লাবটিকে।