লড়াই জমিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল বাংলাদেশ
ধারেভারে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। পরিসংখ্যানও পরিস্কার কথা বলছিল অতিথিদের পক্ষে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বর দলটির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে চোখে চোখে রেখে লড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময় রাখতে পারেনি সেই ধার। ফলাফল যথারীতি হতাশায় মাড়ানো। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফিরতি লেগেও হারল বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিরতি লেগের অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ নেতৃত্বের ভার পড়ে তপু বর্মণের কাঁধে। বেঞ্চে রাখা হয় জামাল ভুঁইয়াকে। একাদশে শেখ মোরসালিন ও কাজী তারিকদের ফেরানো বাংলাদেশ শুরু থেকেই রক্ষণে জোর দেয়। ম্যাচের শুরুর বাঁশি বাজার দ্বিতীয় মিনিটেই ঘটতে পারত বিপদ। সতীর্থের ফ্রি কিকে বাংলাদেশের ডি বক্সে বল পেয়েছিলেন জ্যাকসন ইরভিন। কিন্তু চারপাশে ডিফেন্ডার ঘিরে থাকায় শট নিতে পারেননি।
এরপর পঞ্চম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় অসিরা। বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মার্মা সেই যাত্রায় রক্ষা করেন বাংলাদেশকে।
এর পাঁচ মিনিট পর উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সতীর্থদের বাড়ানো পাস ধরে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের দিকে বল নিয়ে ছুটে যান রাকিব হোসেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডি বক্সের কাছে তালাগোল পাকান এই ফরোয়ার্ড। অসি গোল কিপারকে একা পেয়েও পারলেন না সুযোগ কাজে লাগাতে।
এরপর একের পর এক অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ। বাংলাদেশও লড়াই ছিল সমানে সমান। এর মধ্যে ২৯তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়ে বাংলাদেশের। ডি বক্সের ডান দিক থেকে লম্বা শট নেন অসি মিডফিল্ডার রাস্টিক। তার শট বার ছোঁয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন বাংলাদেশি ডিফেন্ডার মেহেদি হাসান। বাংলাদেশি ফুটবলারের পায়ে লেগেই বল চলে যায় স্বাগতিকদের জালে। আর অস্ট্রেলিয়ার পেয়ে যায় ১-০ ব্যবধানের লিড।
পিছিয়ে যাওয়ার চাপ সামলে প্রথমার্ধে আর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩২তম মিনিটে রাকিব হোসেন প্রতিপক্ষের পোস্টের কাছে গিয়েও পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। পাল্টা আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া। এবারও মিতুল মার্মার দৃঢ়তায় বেঁচে যায় হাভিয়ের কাবরেরার দল।
কুলিং ব্রেকের পর ৪২ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবার মোরসালিন নিজে আক্রমণে না উঠে ডানে থাকা রাকিবকে পাস দিতে যান। মাঝে বাধা দেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে নিজেদের আত্মঘাতী গোল ছাড়া প্রতিপক্ষকে গোল করতে দেয়নি তপু বর্মণের দল।
বিরতি থেকে ফিরে লড়াইয়ে চমক দেখায় বাংলাদেশ। কিন্তু ৬২ মিনিটেই খেয়ে যায় বড় ধাক্কা। সতীর্থের পাওয়া পাস বাংলাদেশের ডি বক্সের ভেতরে পেয়ে যান
জটলা থেকে কুশনি ইঙ্গিনি। সুযোগ হাতছাড়া করেননি। জটলার মধ্য থেকেই হেডে স্কোরলাইন ২-০ করেন এই অসি ফরোয়ার্ড। এরপর বাকি সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারে বাংলাদেশ। দফায় দফায় আক্রমণ করেও পায়নি গোলের দেখা। ফলে ২-০ ব্যবধানের হার নিয়েই শেষ হয় বাংলাদেশের অসি পরীক্ষা।
এর আগে মেলবোর্নে প্রথম লেগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ক্ষততে প্রলেপ দিতে এবার উন্নতির আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোভ হাভিয়ের কাবরেরা। নিজেদের মাঠে উন্নতির আভাস দেখালেও ফিনিংশিংয়ের দুর্বল ঠিকই রয়ে গেল বাংলাদেশের।