কানাডাকে হারাতে আইরিশদের প্রয়োজন ১৩৮ রান
নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টির রমরমা সময়েও এই মাঠে ভালো সুবিধা পান বোলাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের ১৩তম ম্যাচে আজ শুক্রবার (৭ জুন) এই মাঠেই মুখোমুখি হয়েছে কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। টস জিতে বোলিং নিতে দেরি করেননি আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন বোলাররা। প্রতিপক্ষকে অল্পতে থামিয়েছেন তারা। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থামে কানাডা।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা কানাডাকে বড় জুটি এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। অ্যারন জনসন ও নভনিত ঢালিওয়াল মিলে মাত্র ১২ রান তোলেন। ১০ বলে ছয় রান করে মার্ক আডাইরয়ের বলে আউট হন ঢালিওয়াল। ১৩ বলে ১৪ রান করা জনসনকে ফেরান ক্রেইগ ইয়ং। ১৪ বলে ১৮ করে সম্ভাবনা জাগানো পারগাত সিংও শিকার হন ইয়ংয়ের। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সাত রান জমা করে সাজঘরে পেরেন দিলপ্রীত বাজওয়া। তিনি আউট হন গ্যারেথ ডিলানির ফিরতি ক্যাচে।
স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কানাডা। তবে, মিডল অর্ডারে নিকোলাস কিরটন ও শ্রেয়াস মোব্বা মিলে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। দুই ব্যাটারের ব্যাটে একটু একটু করে বিপদ সামলে এগিয়ে চলে কানাডা। দ্রুত চার উইকেট তুলে নিলেও কিরটন ও মোব্বার দেয়াল ভাঙতে পারছিলেন আইরিশ বোলাররা। দুজনের ৭৫ রানের জুটিতে কানাডা মোটামুটি লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায়। এই জুটি ভাঙেন ব্যারি মাকার্থি। ৩৫ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন কিরটন। মোব্বার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৭ রান।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ইয়ং ও ম্যাকার্থি।