নেপালকে মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ
জিতলে সুপার এইট, হারলে সমীকরণের মারপ্যাঁচ। ছন্দে থাকা বাংলাদেশ জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে দলটি। নেপাল জিততে জিততে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। সেই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচ আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন)। গ্রুপপর্বে দুদলের শেষ খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেও সমালোচিত হচ্ছিল বাংলাদেশ দল। মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম হাস্যরস হয়নি। এতটাই যে, ক্রিকেটাররা পর্যন্ত সেটি নিয়ে কথা বলেছিলেন। সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মায়ের দোয়া নামটা তো খারাপ না। তবে, বিশ্বকাপ শুরু হতেই বদলে গেছে বাংলাদেশ দলের পরিস্থিতি।
যাদের গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ দিয়ে দিচ্ছিলেন ভক্তরা, তারা এখন স্বপ্ন দেখছেন সুপার এইটের। স্বপ্ন বাস্তবায়নের খুব কাছাকাছি বাংলাদেশ দলও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন)। নেপালকে হারাতে পারলেই নিশ্চিত হবে সুপার এইট। অর্থাৎ, নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রয়োজন কেবল একটি জয়।
বাংলাদেশের তারকা তানজিম সাকিব আত্মবিশ্বাসী জয়ের ব্যাপারে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন—‘প্রতি ম্যাচেই আমরা জেতার জন্য নামি। এই ম্যাচেও (নেপালের বিপক্ষে) আমরা জয়ের জন্যই খেলব। আমাদের ব্যাটার যারা রান পাচ্ছেন না, আশা করি তারা রানে ফিরবে। আমরা যারা বোলার আছি, চেষ্টা করব উইকেট টু উইকেট বল করতে। সুপার এইটের আগে যেন আত্মবিশ্বাস বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে দলের সবার।’
অন্যদিকে নেপাল স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশকে হারানোর। দলটির অধিনায়ক রোহিত পাওদেল বলেন, ‘আমরা সুপার এইটের অঙ্কটা জানতাম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে পারলে বাংলাদেশের সাথে ম্যাচটা নকআউট হতো। এটা যেহেতু হয়নি, পরের ম্যাচ গর্বের জন্য খেলব। আমরা টেস্ট খেলুড়ে একটি দেশকে হারাতে চাই।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।