এবার আসা-যাওয়ার মিছিলে সাকিবও
রানআউট হয়ে মাহমুদউল্লাহ যখন ফিরে যান, অপর প্রান্তে সাকিব আল হাসান হতাশ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের হাফসেঞ্চুরিয়ান সাকিব হতাশ হলেও তিনি ক্রিজে থাকায় আশা ছিল। সেই আশার পালে হাওয়া দিতে পারেননি এই তারকা। বরং দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে রোহিতের বলে লেগবিফোর হন। ২২ বলে ১৭ রানের ধীর ইনিংস খেলেন তিনি।
বড় সাকিবের পর বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ছোট সাকিবও (তানজিম)।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের
ইনিংসের প্রথম বল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। ২১ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় দলটি। তাওহিদ হৃদয় ক্রিজে এলে অনেকটা ভরসাই তৈরি হয়। তিনি অবশ্য ব্যর্থ হলেন। সাত বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দুটি চারে শুরুটা ভালো করলেও উড়িয়ে মারতে গিয়ে রোহিত পাওডেলের বলে লামিচানের ক্যাচ হয়ে ফিরে যান। ৩০ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ দেখেশুনে খেলছিলেন। কোনো ঝুঁকি নেননি। তবু, দুর্ভাগ্য ছাড়েনি বাংলাদেশকে। দলীয় ৫২ রানে রানআউট হন মাহমুদউল্লাহ। দল হারায় পঞ্চম উইকেট।
নড়বড়ে টপ অর্ডার, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সুপার এইটে ওঠার। সমীকরণ সহজ, জিতলেই সুপার পরের পর্ব নিশ্চিত। এমন ম্যাচে শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে পথ দেখানোর বদলে শান্ত-তামিমরা বিপদে ফেললেন। স্কোরবোর্ডে মাত্র সাত রান যোগ করতেই সাজঘরের পথ ধরেন দুই ব্যাটার।
ইনিংসের প্রথম বলেই সম্পাল কামির বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দেীপেন্দ্র সিং আইরির বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পাঁচ বলে চার রান করেন তিনি। ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। সম্পাল কামির বলে তিনি আউট হলে ২১ রানে তিন উইকেটে পরিণত হয় বাংলাদেশ।
সুপার এইট নিশ্চিতের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
হিসেব নিকেশ সঙ্গী করেই নেপালের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন খেলা হওয়ায় দেশবাসীর ঈদ আনন্দ দ্বিগুন করতে মরিয়া শান্ত-সাকিবরা। সেই লক্ষ্যে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। সোমবার (১৭ জুন) কিংসটাউনের আর্নস ভেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। এই ম্যাচে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ।
২০০৩ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই ঈদের আগের দিন কানাডার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন লজ্জাজনক হারের পর পুরো দেশবাসীকেই তখন ‘বাজে’ একটা ঈদ কাটাতে হয়েছে। ২১ বছর পর পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরও একটি ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ, যে ম্যাচের গুরুত্ব অনেক।