রিশাদ যেন বাংলার ক্রিকেটে আশার আলো
সুপার এইটে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচের দিকে একটু তাকানো যাক। অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরেছে। দ্বিতীয়টিতে ভারতের সঙ্গে হারের ব্যবধান ৫০ রান। বাংলাদেশের যে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ, দুটি ম্যাচেই তারা ব্যর্থ। ব্যাটারদের কথা না বললেও বুঝে নেওয়া যায়, কতটা সফল তারা!
ম্যাচ দুটি থেকে বাংলাদেশের অবশ্য একটি নির্দিষ্ট প্রাপ্তি আছে—রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই উইকেট হারিয়েছিল অসিরা। দুটিই রিশাদের। তার স্পিন ঘূর্ণিতে কাত হয়ে অবাক বনে যান ট্রাভিস হেডের মতো ব্যাটারও। ভারতের বিপক্ষেও দুই উইকেট পেয়েছেন।
ভারতীয় ব্যাটারদের খাবি খাওয়ার পর বোলারদেরও নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন রিশাদ। গোটা বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে ধুঁকছে, রিশাদ তখন ডরহীন। ১০ বলে একটি চার তিনটি ছক্কায় ২৪ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংই তো শেষ কথা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে রিশাদ বলেছিলেন, ‘সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও চাই বাউন্ডারির দিকে মারতে। যখন ছক্কা মারি, বোলার বা অন্য কিছু দেখি না। শুধু চাই বল দেখে মারতে। আমি চেষ্টা করব নিজ সামর্থ্যের সবটুকু দিতে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন দিক থেকেই সেরাটা দিতে হবে।’
রিশাদ তার কথা রেখেছেন। ছয় ম্যাচে বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। বাংলাদেশে একজন লেগ স্পিনারের যে অভাব দীর্ঘদিনের, সেটি ঘোচাবার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সঙ্গে ব্যাট হাতে তার বড় শট খেলার সামর্থ্য, আধুনিক ক্রিকেটে এমন কাউকে পাওয়াটা প্রতিটি দলেই আশার আলো জ্বেলে দেয়।