বাংলাদেশ না পারলেও বিশ্বকাপে যেখানে এগিয়ে রিশাদ
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে সুপার এইটেই। টানা তিন হারে বিদায় নিতে হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব থেকেই। তবু, সাফল্যের বিচারে এটিই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে এক আসরে এবারই সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়ার পেছনে ব্যাটারদের ব্যর্থতা অন্যতম। বোলাররা ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। বিশেষত, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ফাইনালের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনি ছিলেন সেরা পাঁচে। ফাইনালের পর অবশ্য খুব একটা হেরফের হয়নি অবস্থানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সদ্য শেষ হওয়া আসরে বোলারদের মধ্যে রিশাদ আছেন ছয় নম্বরে।
সাত ম্যাচে রিশাদ নিয়েছেন ১৪ উইকেট। অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানের উইকেটও ১৪টি। ওভারপ্রতি রান এবং রান প্রতি উইকেট নেওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে থাকায় রিশাদ আছেন ছয়ে, রশিদ পাঁচে। রিশাদের ইকোনমিও যথেষ্ট ভালো। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৭৬, ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের জমানায় যা যথেষ্ট ভালো। রিশাদের পর বল হাতে বাংলাদেশিদের মধ্যে ১০ উইকেটের বেশি নিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সাত ম্যাচে তার ঝুলিতে আছে ১১ উইকেট। ইকোনমির দিক থেকে বেশ মিতব্যয়ী ছিলেন সাকিব, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.২০ করে।
এই আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তান তারকা ফজলহক ফারুকী। আট ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে ম্যাচে আছে চার ও পাঁচ উইকেট। আট ম্যাচে ফারুকীর সমান ১৭ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার আর্শদিপ সিংও। ১৭ বছর পর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।