ভোরে আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর লড়াই দিয়ে শুরু কোয়ার্টারের রোমাঞ্চ
১৬ দল নিয়ে শুরু হওয়া কোপা আমেরিকা এখন ৮ দলের। নাটকীয়তা আর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। হাসি নিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলসহ ৮ দল। কোস্টারিকাসহ বাকি ৮ দল কান্নায় ভেঙে নিয়েছে বিদায়। আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল সাতটায় হিউস্টনে আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শেষ আটের লড়াই।
চলতি কোপা আমেরিকার শিরোপার অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপপর্বে টানা তিন জয়ে বেশ আত্নবিশ্বাসী লিওনেল স্কালোনি শিষ্যরা। কোয়ার্টারে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সেমি নিশ্চিতের লক্ষ্য আলবিসেলেস্তাদের। অন্যদিকে, মেসিদের হারিয়ে ইতিহাস গড়তে মুখিয়ে ইকুয়েডর।
দলে তেমন কোনো বড় তারকা না থাকলেও ইকুয়েডরকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কোপা আমেরিকায় এ পর্যন্তম মোট ৩ বার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। শেষবার তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। তবে, লম্বা সময় ধরে কোপায় খেললেও আর্জেন্টিনাকে কখনও হারাতে পারেনি ইকুয়েডর।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। জয় পেয়েছে ১১টি ম্যাচে। অন্যদিকে ড্র হয়েছে ৫টি ম্যাচ। সর্বশেষ ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল আলবিসেলেস্তারা। আর সব রকম প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মোট ৪০টি ম্যাচ খেলে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। হেরেছে মাত্র ৫টি ম্যাচে। বাকি ম্যাচগুলো ড্র হয়েছে।
আর্জেন্টিনা গ্রুপে তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে। এমনকি পেরুর বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই জিতে যায় তারা। এই শক্তিশালী দল নিয়ে ইকুয়েডর কোচ সানচেজের মন্তব্য, ‘আমরা জানি তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কতটা কঠিন হতে যাচ্ছে এই লড়াই, জানা আছে। এটা আমাদের জন্য আরেকটি ফাইনাল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করবো।’
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ তারকা ফুটবলার লিওনের মেসির চোট। অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘আমরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রশিক্ষণ নেবো। তারপর সিদ্ধান্ত। আরও একটি দিন ভালো কাটতে হবে। গতকাল আমাদের ভালো অনুভূতি ছিল এবং আজ আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আজকের প্রশিক্ষণের উপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব মেসি খেলবে কিনা।’