লারমার গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে দশ জনের কলম্বিয়া
মাঠের খেলার ধরন ও মান বিবেচনায়ও টুর্নামেন্টে সার্বিকভাবে সেরাদের মধ্যেই থাকবে কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। যার ফলে দুই দলের ফাইনালে ওঠার লড়াইটি ছড়াচ্ছে বাড়তি উত্তাপ। মাঠেও তার প্রমাণ মিলল। বল দখলে সমানে সমান থাকলেও প্রথমার্ধে এগিয়ে কলম্বিয়া। তবে, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছে দলটির তারকা ফুটবলার ড্যানিয়েল মুনোজ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বল দখলে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ম্যাচের দশম মিনিটে কোনো জোরালে আক্রমণ করতে দেয়া যায় উরুগুয়েকে। ম্যাচের ১১তম মিনিটে ডি-বক্সে করডোভার উদ্দেশে দিযাজের বল বাড়িয়ে দিলেও বেশি গতির কারণ তা নাগালে ছিল না এই ফরোয়ার্ডের।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। দিয়াজের বাড়ানো বলে মুনোজ হেড করলেও তা গোলবারে ছিল না। ১৭তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পায় উরুগুয়ে। গড়ানো শটে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে সফল হতে পারেননি নুনেজ।
২২তম মিনিটে আরও একবার হতাশ হতে হয় উরুগুয়ের সমর্থকদের। কারণ এবারও নুনেজের শট বারের ঠিক পাশ দিয়ে চলে যায়। ২৮তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় নুনেজ। তবে, এবারও ভাগ্য তার সহায় হয়নি।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের ক্রস থেকে করডোভা হেড করলেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। অবশ্য ৩৯তম মিনিটে কাঙ্খিত গোলটি পেয়ে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের করা কর্ণার থেকে দারুন হেডে গোল করেন জেফারসন লারমা। এটি রদ্রিগেজের ষষ্ঠ অ্যাসিস্ট। যা কোপার ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ। তবে, ৪৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষ এক ফুটবলারকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মুনোজ।
কোপা আমেরিকায় তৃতীয়বার ফাইনাল খেলার অভিযানে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছে কলম্বিয়া। জয় পেলেই ২০০১ সালের পর আবার শিরোপার মঞ্চে নাম লেখাবে ২৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকা দলটি। অন্যদিকে, ব্রাজিলকে উড়িয়ে সেমিতে জায়গা করে নেওয়া উরুগুয়ে ছেড়ে কথা বলত নারাজ। রেকর্ড ১৭তম শিরোপার খোঁজে দলটি।