‘অপেশাদার’ বলে কোপার আয়োজকদের ধুয়ে দিল কানাডা
শেষের বাঁশি বাজচ্ছে কোপা আমেরিকায়। আর মাত্র একম্যাচ পরেই হবে শিরোপার নিষ্পত্তি। অথচ এখনও পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। এবার নতুন করে কোপার আয়োজন নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন কানাডার কোচ জেসি মার্শ। কোপার আয়োজকদের অপেশাদার বলে উল্লেখ করে ধুয়ে দিলেন এই কোচ।
যুক্তরাষ্ট্রে বসেছে কোপার চলতি আসর। কানাডা ও মেক্সিকোকে নিয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপও আয়োজন করবে দেশটি। কিন্তু এখনও ফুটবলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয় দেশটি। যেমন কোপা শুরুর দিন থেকেই প্রশ্ন ওঠে ঘাস ও মাঠ নিয়ে। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের পর ঘাস নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এরপর উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ বিয়েলসাও সার্বিক আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রেফারি ইস্যুতেও ওঠে নানা অভিযোগ। এবার এই অভিযোগ তোলার তালিকায় নতুন নাম যোগ হয়েছে কানাডিয়ান কোচের। টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম খেলতে এসেই সেমিফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দেয় দেশটি। কিন্তু সেমিতে উঠতে তারা দেখে মোট ১৪টি হলুদ কার্ড। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে কোচ মার্শ নিজেও পেয়েছেন হলুদ কার্ড। তার মতে, কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে কোপায় দেখা গেছে বৈষম্যমূলক আচরণ।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে টুর্নামেন্ট নিয়ে অভিযোগ তুলে মার্শ বলেছেন, ‘কনকাকাফ অঞ্চলের দলগুলোর বেলায় কার্ড পাওয়ার হার অনেক বেশি।'
মার্শ উরুগুয়ের কোচ বিয়েলসার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘আমি (বিয়েলসার সংবাদ সম্মেলন) পুরোটা দেখিনি। তবে কিছু মন্তব্য দেখেছি। কিছু বিষয়ের সঙ্গে আমি একমত। টুর্নামেন্ট আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। ব্যবস্থাপনায় অনেক সমস্যা ছিল।’
কানাডার কোচ আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা সামাজিক মাধ্যমে ও সামনাসামনি বর্ণবাদী আচরণ পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমি, আমরা নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমরা কঠোর ও আক্রমণাত্মক খেলেছি। প্রতিপক্ষ কোচের কাছ থেকে মাত্রা ছাড়ানোর অভিযোগও পেয়েছি।’
টুর্নামেন্টের রেফারিং নিয়ে মার্শের মন্তব্য, ‘আপনি যদি কার্ডের সংখ্যা দেখেন, সাউথ আমেরিকান দলগুলোকেই বেশি কার্ড দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-উরুগুয়ে ম্যাচে আমার দেখা সবচেয়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী রেফারিং ছিল। অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে যাবে, সেটি জেনেই আমরা খেলতে নামব। তবে আমরা দেখাব, কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ কী।’