এমন তামাশা প্রথম দেখলাম, হারের পর বললেন আর্জেন্টাইন কোচ
ফুটবলে সময়টা স্বপ্নের মতো কাটছিল আর্জেন্টিনার। কোপা-বিশ্বকাপ-কোপ জয়, মাঝে ফিনালিসিমা জয়। একের পর এক ট্রফি জিতে রীতিমতো উড়ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অথচ সেই দলটিই কি না অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেল অলিম্পিক গেমসে। তাও ড্র’এর পর বিতর্কিতভাবে বাতিল করা হয় তাদের গোল, ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টাইনদের।
গতকাল বুধবার কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা দলের অলিম্পিকে ফুটবল অভিযান শুরু হয় বিতর্কিত হার দিয়ে। আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচে ২-২ সমতায় খেলা শেষের পথে থাকলেও দর্শকদের ঝামেলায় শেষ বাঁশি বাজাতে পারেননি রেফারি। সেঁত এতিয়েনে কাল আর্জেন্টাইনকে লক্ষ্য করে পানির বোতলসহ বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে।
পরবর্তীতে প্রায় দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলেও বাতিল করা হয় আর্জেন্টিনার দেওয়া দ্বিতীয় গোল। ফাঁকা স্টেডিয়ামে শেষ তিন মিনিটের জন্য খেলা শুরু হতেই ভিডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেফারি গোল বাতিল করে দেন আর্জেন্টিনার। যার ফলে নিশ্চিত ড্র করা ম্যাচে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলের হার দেখতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।
আশরাফ হাকিমিদের দেশের বিরুদ্ধে হারের পরেই ক্ষোভ ঝরছে আর্জেন্টাইনদের। দলটির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো তো বলেই ফেলেন—জীবনে প্রথম খেলার মঞ্চে এমন তামাশা দেখেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, ‘এমন ফলাফল কল্পনাই করতে পারিনি। ওই মুহূর্তে বন্ধ হওযার পর মরক্কোর অধিনায়ক আর খেলতে চাননি, আমরাও আর চালিয়ে যেতে চাইনি। সমর্থকরা নানা কিছু ছুড়ে দিচ্ছিল আমাদের দিকে। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় তামাশা এটি। জানি না, এটুকু পর্যালোচনা করতে তাদের কেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট লাগল। এই পর্যায়ের ফুটবলে এরকম কিছু আগে হয়েছে বলে মনে পড়ে না। দেড় ঘণ্টা ধরে খেলা বন্ধ থাকার পর ১০ মিনিট গা গরম করে আবার তিন মিনিটের জন্য মাঠে নামা—এসব কলঙ্কজনক ব্যাপার। এটা তো পাড়ার টুর্নামেন্ট নয়!’