ছাত্রদের সমর্থনে ছিলেন যেসব ক্রিকেটার, এড়িয়েছেন যারা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১ জুলাই থেকে রাজপথে ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অহিংস আন্দোলনে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে ছিলেন তারা। তবে, মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর ফুঁসলে ওঠে সংগ্রামী ছাত্ররা। শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রদের প্রতিহত করতে মাঠে নামে ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়, আন্দোলনে যোগ দেয় সাধারণ জনতা ও সব শ্রেনি-পেশার মানুষ। তীব্র আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের।
এই আন্দোলনে নিজেদের জায়গা থেকে শামিল ছিলেন অনেক তারকাই। ক্রিকেটাররাও এর বাইরে ছিলেন না। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা তাওহিদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান সোহানরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম, আকবর আলীরা। সামাজিক মাধ্যমে প্রত্যেকেই নিজেদের জায়গা থেকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
পেসার তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ওপেনার তামিম ইকবালরাও হানাহানি বন্ধের আহ্বান জানান যার যার জায়গা থেকে। আরও অনেক ক্রিকেটারই পাশে ছিলেন। প্রত্যেকেই দোয়া করেছেন সবার জন্য, চেয়েছেন কোনো মায়ের বুক খালি না হোক। তাদের ছোট ছোট বার্তা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আন্দোলনরত সংগ্রামী ছাত্র-জনতাকে।
তবে, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে চুপ ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসান। তর্কাতীতভাবে দেশের ক্রিকেটের দুই মহাতারকা বেঈমানি করেছেন বলে ক্ষোভ জাগে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। কারণ তাদের সংকটময় পরিস্থিতিতে দুজনই ছিলেন একদম নিশ্চুপ। উল্টো কানাডিয়ান লিগে খেলতে গিয়ে প্রবাসিদের দেশের জন্য ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনা আরও বাড়িয়ে দেন সাকিব।
সাকিব ও মাশরাফী দুজনই সে সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। যদিও, সাধারণ ছাত্র-জনতা এই দুজনকে বেশ তিরস্কার করেছে এমন কাপুরুষের মতো আচরণের জন্য।