এবারের প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। আয়োজকদের নানা ভুলের পাশাপাশি একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন অ্যাথলেটরা। তাতে সবশেষ সংযোজন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাথলেট টম ক্রেইগ। আসর চলাকালীন তাকে প্যারিস থেকে আটক করে দেশটির পুলিশ। যদিও পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার ফাঁকে ক্রেইগ বেরিয়েছিলেন কোকেন কেনার জন্য। আর সেটি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। অস্ট্রেলিয়া হকি দলের এই খেলোয়াড়কে কোনো জরিমানা কিংবা শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তির পর এমন কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

২০২০ টোকিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রুপা জিতেছিলেন ক্রেইগ। ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, গত ২৪ ঘণ্টায় যা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চাই। অনেক বড় একটা ভুল করেছি। আমি এর দায়িত্ব নিচ্ছি। এই কাজ আমার পরিবার, সতীর্থ, খেলা ও অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক দলের মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে না, এর দায় আমার। আমি সবাইকে লজ্জিত করেছি। অনেক দুঃখিত।’

এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রধান আন্না মিয়ার্স বলেন, ‘সে এমন একজন ভালো মানুষ, যে কিনা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের কাজের ফল তাকে পেতে হবে। সে ক্ষমা চেয়েছে, অনুতপ্ত। নিজের কাজের দায় নিয়েছে। ক্রেইগের সাহায্য দরকার হলে আমরা তাকে সাহায্য করব।’

জানা গেছে, এই ঘটনার পরই অলিম্পিক ভিলেজ থেকে বেরিয়ে গেছেন ক্রেইগ। মূলত, প্যারিসে একটি ভবনের নিচে কোকেন লেনদেন হওয়ার ঘটনা পুলিশ অফিসারদের চোখে পড়ে। এরপর বিক্রেতা ও ক্রেতা দুজনকে আটক করা হয়। ক্রেতা নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের সদস্য হিসেবে দাবি করেন।