‘ক্রিকেটারদের রাজনীতির ইচ্ছা থাকলে অবসর নেওয়া উচিত’
খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা অপরিচত নয়। বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটাররাও সদ্য ভেঙে যাওয়া পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, আরেকজন হলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু, ছাত্র আন্দোলনের পর দেশের পরিবর্তিত অবস্থাতে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে নামার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। তার মতে, কোনো ক্রিকেটারের যদি রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সে যেন অবশ্যই খেলা থেকে অবসর নেয়।
আজ রোববার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেটারদের রাজনীতি করার বিষয় নিয়ে কথা বলেন সোহান। এই উইকেটকিপার বলেছেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’
এ ছাড়া সোহান মনে করেন, ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠক আসা উচিত। এ ব্যাপারে তার ভাষ্য, ‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিগতদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অফিস করা শুরু করেছেন তিনি। আর প্রথম দিনের অফিসেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মধ্যে একটি ছিল আগামী দিনে কীভাবে বিসিবি চলবে সেই প্রসঙ্গও। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বর্তমান পর্যালোনা পর্ষদে বেশ পরিবর্তন আসতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, চলমান অবস্থায় অনেক পরিচালকই আত্মগোপনে আছেন।