কেন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াননি মাশরাফী, জানালেন নিজেই
কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সরকার পতনের এক দফাতে পরিণত হয়। পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এর বিনিময়ে প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ছাত্র আন্দোলনকে গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত করার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের ছিল প্রত্যক্ষ ভূমিকা। অনেকে সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও গণঅভ্যুত্থানে সরব ছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের বহু ক্রিকেটার একাত্মতা প্রকাশ করেন ছাত্র-জনতার সঙ্গে। হানাহানি, সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েন কেউ কেউ। তবে, পুরো সময় নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যও ছিলেন। তার এই চুপ থাকা মেনে নিতে পারেনি সাধারণ মানুষ। হয়েছেন প্রবল সমালোচিত।
সরকার পতনের পর নয়দিন পার হয়েছে। এতদিন আড়ালে থাকা মাশরাফী আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) ক্যামেরার সামনে আসেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে ক্ষমা চান মাশরাফী। কেন মানুষের পাশে থাকতে পারেননি, সেটিও তুলে ধরেন।
মাশরাফী বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে। এরজন্য সংবিধান অনুযায়ী প্রথমে আমাকে স্টেপডাউন (সাংসদ থেকে পদত্যাগ) করতে হতো। এরপর যদি সবকিছু স্বাভাবিক হতো, আমি নড়াইলের মানুষকে কী জবাব দিতাম? তারা আমাকে এত আশা ভরসা নিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছে। বরাবরই আমার মনে হয়েছে, একটা স্ট্যাটাসে কী হতো? আমি চেয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি ব্যর্থ হয়েছি। আমার ব্যর্থতা মেনে নিচ্ছি।’