ছাত্র আন্দোলনে শরিক হতে না পেরে ভালো নেই মাশরাফী
প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান এই স্বৈরাচার। অবসান ঘটে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের একনায়কতন্ত্রের। হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী আছেন আত্মগোপনে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ছাত্র আন্দোলনকে গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত করার পেছনে সামাজিক মাধ্যমের ছিল প্রত্যক্ষ ভূমিকা। অনেকে সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও গণঅভ্যুত্থানে সরব ছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বহু ক্রিকেটার একাত্মতা প্রকাশ করেন ছাত্র-জনতার সঙ্গে। হানাহানি, সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েন কেউ কেউ। তবে, পুরো সময় নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফী।
সরকার পতনের পর থেকে তার কোনো হদিস ছিল না। তিনি কোথায় আছেন, তা অজানাই থেকে যায়। তবে, প্রশ্নের আংশিক উত্তর মিলেছে। সেটি দিয়েছেন মাশরাফী নিজেই। সরকার পতনের পর নয়দিন পার হয়েছে। এতদিন আড়ালে থাকা মাশরাফী আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) ক্যামেরার সামনে আসেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের শুরুতে মাশরাফী বলেন, ‘শারীরিকভাবে ভালো আছি। মানসিকভাবে নেই। পরিবার নিয়ে নিরাপদে আছি, ঢাকাতেই আছি।’ পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে নিজের ব্যর্থতার কথা প্রকাশ করেন সাবেক এই অধিনায়ক। মাশরাফী জানান, তিনি চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে। তবে, ব্যর্থ হয়েছেন। মেনে নিয়েছেন নিজের ব্যর্থতা।