বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে?
গত কয়েক দিনের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকের মতো প্রশ্নের মুখে সাকিব আল হাসানের ভবিষ্যৎ। কারণটা সবার জানা। আওয়ামী লিগের সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। সরকার বদলের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়টায় দেশের বাইরে ছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপের পর থেকেই বিভিন্ন লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন তিনি। পুরো আন্দোলনে ছিলেন নীরব ভূমিকায়। উল্টো কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সময় সমর্থকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে সামলোচনার জন্ম দেন। এরপর, যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় তখন সাকিব আর দেশে ফিরবেন কি না সেটা নিয়েই শঙ্কা জাগে।
নানা আলোচনার মাঝে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সিরিজে সুযোগ পান সাকিব। কানাডা থেকে সরাসরি পাকিস্তানি যোগ দেন তিনি। তবে সামনের দিকে তার ভবিষ্যৎ কী হবে সেটাই জানতে চাওয়া হয় নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে।
দায়িত্বের প্রথম দিন সংবাদমাধ্যমে এসে সাকিবের ব্যাপারে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘তার ব্যাপারে আমাদের বোর্ডের সাথে আলোচনা করব, সাকিব এখন যে স্টেজে আছে, সে কন্টিনিউ করতে পারে কি না সেটা দেখবো০? বোর্ডের কিছু পলিসি আছে। সেগুলো নিয়ে আলাপ করতে হবে। অবশ্যই দুটি টেস্ট ম্যাচ (পাকিস্তান সিরিজ) আছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পলিসি যদি থাকত, যদি সাকিবকে বলা হতো তুমি খেলো না, তখন সেটা বোর্ডের ওপর যেত। আরেকটা ব্যাপার আছে, সে বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে খেলতে পারবে কি না, এটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমার গুরুত্বের সঙ্গেই দেখব।’
এ ছাড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে আরও কিছু গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান নতুন সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কি করতে পারবে, কি করতে পারবে না, এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ করেছি। বিশেষ করে সফর চলাকালীন সময়, সফরের আগে পরে ক্রিকেটাররা কি করতে পারবে, কি পারবে না, এসব থাকবে। আপনার যদি লিখিত থাকে, সফর চলাকালীন সময় আপনি কোনো বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না। তাহলে এটার জন্য আপনার কাছে কেউ আসবে না। এটা যদি পরিস্কার লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।’