ইতিহাস গড়তে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধ না হলেও এবার সুযোগ পাকিস্তানকে হারিয়ে নতুন করে ইতিহাস লেখার। যে সুযোগ বেশ ভালোভাবেই লুফে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংসে পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে ছেড়েছে তাসকিন-হাসানরা। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিততে সহজ লক্ষ্যই তাড়া করতে হবে লিটনদের।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭২ রান তোলে পাকিস্তান। ১২ রানের লিডসহ পাকিস্তানের মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৮৪ । যার মানে ১৮৫ রান করলেই ইতিহাস গড়বে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ।
চতুর্থ দিনের শুরুটা কিছুটা দেখেশুনেই করে পাকিস্তান। তবে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। তাসকিনের বলটা ফুল লেংথে পিচ করে অফ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা সাইম ড্রাইভ করলেও তা মিড অফে থাকা অধিনায়ক শান্তর কাছে যায়। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি তিনি। ৩৫ বলে ২০ রান করেন আইয়ুব।
আইয়ুবের বিদায়ের পর অধিনায়ক শান মাসুদও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নাহিদ রানার শর্ট পিচের বলটা ওয়াইড লেংথে পরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মাসুদ স্কয়ার কাট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। বল তার ব্যাটে লেগে জমা হয় লিটনের গ্লাভসে। ৩৪ বলে ২৮ রান আসে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমকেও ফেরান তরুণ এই পেসার। রানার বাউন্সে স্লিপে থাকা সাদমানের কাছে ক্যাচ দেন বাবর। সবমিলিয়ে দলীয় ৬৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৮ বলে ১১ রান আসে বাবরের ব্যাট থেকে।
পরপর দুই বলে উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল নাহিদ রানার সামনে। কিন্তু পারলেন না সাদমান ইসলামের ব্যর্থতায়। আগের বলে বাবরের ক্যাচ পেয়েছিলেন বুকের ওপর, নিয়েছিলেন সহজেই। এবার বাঁ দিকে সরতে হয়েছে, তাতেই শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি। যার ফলে প্রথম বলেই জীবন পেয়ে যান রিজওয়ান।
এরপর দলীয় ৮১ রানের মাথায় নিজের তৃতীয় ও দলের ষষ্ঠ উইকেট তোলেন নাহিদ। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা নাহিদের বলটার গতি ও লাইন ধরতে পারেননি শাকিল। খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ১০ বলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর রিজওয়ান-সালমান আগা প্রতিরোধ গড়লেও তারা খুব বেশিদূর দলকে নিতে পারেননি। শেষমেশ ১৭২ রানে থামে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন সালমান আগা।