ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে রেকর্ড গড়লেন হাসান
‘প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখেই দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ’—কবিতার লাইনগুলোর মতো তার চোখে সর্বনাশ দেখেছে পাকিস্তান। কেবল আলোয় রাঙা প্রহর শেষে গৌধুলির মায়া দেখেনি পাকিস্তান, বরং ঘোর অমানিশায় পতিত হয়েছে দলটি। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষটির দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগুন ঝরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি এই পেসার তুলে নিয়েছেন ফাইফার, তাতে ধস নেমেছে পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের শুরু ও শেষে।
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশ পিছিয়েছিল ১২ রানে। খানিকটা আক্ষেপ নিয়ে তৃতীয় দিনের অপরাহ্ন শুরু করে সফররতরা। বেলা শেষে আক্ষেপ পরিণত হয় স্বস্তিতে। স্কোরবোর্ডে ৯ রান জমা করতেই পাকিস্তান হারায় দুই উইকেট। দুটিই পেসার হাসান মাহমুদের শিকার। প্রথমে আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা খুররাম শাহজাদের নাইটমেয়ারে (দুঃস্বপ্ন) পরিণত হন হাসান। বোল্ড করে ফেরান তাকেও।
শুরুর মতো শেষেও ফের হাসানের আঘাত। পাকিস্তান লোয়ার অর্ডারের চার উইকেটের তিনটিই তুলে নেন এই পেসার। ইনিংসে মোট শিকার পাঁচটি। রান দিয়েছেন ৪৩। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই কোনো বাংলাদেশির সেরা বোলিং ফিগার। হাসানের প্রথম ফাইফার। কে বলবে, এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ! মাত্রই তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি।
পেস ইউনিটে দিন দিন উন্নতি করছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেটি আরও একবার দৃশ্যমান। হাসানের পাঁচ, নাহিদ রানার চার ও তাসকিন আহমেদের এক—১০ উইকেটের সবকটিই পেসারদের তুলে নেওয়া। আর এমন এক আগুনঝরা দিনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন হাসানই। তার বলে হাসল বাংলাদেশ, কাঁদল পাকিস্তান।