বদলে যাওয়া বাংলাদেশের মূলমন্ত্র জানালেন শান্ত
সিরিজ শুরুর আগেও বাংলাদেশের কাছে বলার মতো কিছু ছিল না। সেই ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে খুব কাছে গিয়েও হার, দুঃখের মাঝে এটিই ছিল সামান্য পাওয়া। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আরও একটি সিরিজ শুরুর আগে ঘুরেফিরে এসেছিল পুরোনো রেকর্ড। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য ছিলেন দৃঢ়প্রত্যয়ী।
প্রথম টেস্টের আগে শান্ত বলেছিলেন, ‘রেকর্ড তো ভাঙা যায়। জানি, কাজটি সহজ হবে না। তবে আমি বিশ্বাস করি, এবার নতুন কিছু সম্ভব হবে। আমাদের খেলোয়াড় সবাই খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। সবাই মিলে মাঠে বিশেষ কিছু অর্জন করা কঠিন নয়।’
কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ। এসেছে নতুন অর্জন। পরিসংখ্যানের পাতায় যুক্ত হয়েছে সফলতার অধ্যায়। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে পাওয়া জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ছয় উইকেটে। স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করে দুই ম্যাচ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত দুটি টেস্টেই শান্তবাহিনী খেলেছে আধিপত্য বিস্তার করে।
দুর্দান্ত এক সিরিজ শেষে আজ মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন শান্ত। কৌতূহলী সাংবাদিকের জিজ্ঞাসা—কোথা এলো প্রেরণা, যাতে ভর দিয়ে বাংলাদেশ সাধন করেছে অসাধ্য। বিনয়ী অধিনায়ক শান্ত জানালেন, সেভাবে কিছু নেই।
শান্ত বলেন, ‘যেভাবে ছেলেরা নিজেদের তৈরি করেছে, সেটি আমাদের জন্য বড় প্রেরণা। সবাই বিশ্বাস করত, আমরা পাকিস্তানকে হারাতে পারব। বিশ্বাস অনেক বড় ব্যাপার। এমনকি দ্বিতীয় টেস্টে আমরা যখন খারাপ করছিলাম, প্রত্যেক ক্রিকেটারের বিশ্বাস ছিল, যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারব। এটি (আত্মবিশ্বাস) আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে আমি বলেছিলাম, রেকর্ড আসলে ভাঙা যায়।’