বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশায় সহজ লক্ষ্য পেল ভারত
ভারতের বিপক্ষে পুরো টেস্ট সিরিজজুড়েই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। বাজে শটে আউট হওয়া, বল না বুঝেই ব্যাট চালানোসহ অনেক অভিযোগই তোলা যায়। জার্সি বদলালেও বাংলাদেশের সেই ব্যাটিং দুর্দশা কাটেনি। গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে ব্যর্থ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
আজ রোববার (৬ অক্টোবর) মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাকিব-তামিম, মুশফিকদের বিদায়ে এখন বাংলাদেশ দলে লম্বা সময় ধরে খেলা তেমন কোনো ক্রিকেটার নেই। অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে তরুণরাও পারছেন না দায়িত্ব নিতে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঠিকঠাক লড়াইটাই করতে পারল না বাংলাদেশ।
চার মেরে ইনিংসের শুরু করলেও দুই বলের বেশি টিকতে পারেনি ওপেনার লিটন দাস। ভারতীয় পেসার আর্শদীপের বলে বড় শটের চেষ্টায় উইকেট বিলিয়ে দেন। আর্শদিপের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। উইকেটের কাছ থেকেই ক্যাচ নেন রিঙ্কু সিং। দুই বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
লিটনের পর আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। ফের একবার সুযোগ পেয়েও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। আর্শদীপের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। আগের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে দুর্দান্ত ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে ভালো কিছুর আভাস দেন পারভেজ। কিন্তু পরের ওভারে আর্শদিপের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তরুণ ওপেনার। ৯ বলে ৮ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন তাওহিদ হৃদয়। তবে, জীবন পেয়েও তিনি পারেননি লম্বা ইনিংস খেলতে। অফ স্টাম্পের ডেলিভারি সুইপ করেন হৃদয়। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ পান নিতিশ। কিন্তু বলের দূরত্ব বুঝতে না পেরে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। যার ফলে জীবন পেয়ে ইনিংসের শুরু করেন হৃদয়। তবে, দলীয় রানের মাথায় ভারুণ চক্রবর্তীর বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন হৃদয়। আউটের আগে করেন ১৮ বলে ১২ রান।
হৃদয়ের পর দলের বিপদ বাড়িয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় ছক্কার চেষ্টায় উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। অভিষিক্ত মায়াঙ্ক যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি বড় শটের চেষ্টায় ডিপ পয়েন্টে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২ বলে মাত্র ১ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এরপর মিরাজকে নিয়ে ভালো কিছুর আশা দেখান অধিনায়ক শান্ত। তবে, সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বাদশ ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন শান্ত। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মিরাজ। যদিও পারেননি দলকে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে দিতে।