ঢাকা টেস্ট
প্রোটিয়াদের দ্রুত থামানোর লক্ষ্যে লড়াইয়ে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটায় বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়। তবে দারুণ বোলিং দিয়ে সেই বিপর্যয়ের ক্ষততে মলম দেবার চেষ্টা করেছেন তাইজুল ইসলাম। পাঁচ উইকেট নিয়ে গতকাল সোমবার শেষবেলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুটা চাপে ফেলেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সেই চাপ আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
টেস্টের প্রথম দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা ছয় ওভার কম হয়। ১৫ মিনিট কম খেলেই ইতি টানতে হয় প্রথম দিনের। সেই সময়টুকু পুষিয়ে দিতে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে ১৫ মিনিট আগে।
প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দিন শেষে উইকেটে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কাইল ভারানে। তার সঙ্গে ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন মাল্ডার। ৩৪ রানের লিড নিয়ে আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য এই লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়ার। আর বাংলাদেশের লক্ষ্য যতদ্রুত সম্ভব সফরকারীদের অলআউট করার।
এর আগে এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে দ্রুত গুঁড়িয়ে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেরাও ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই হাসান মাহমুদের ভেতরে ঢুকা দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন এইডেন মার্করাম। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক।
দলীয় ৫০ রানে পরের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২তম ওভারে ট্রিস্টান স্টাবস ফিরিয়ে নিজের উইকেটের খাতা খোলেন তাইজুল। মিরাজের বলে জীবন পাওয়া স্টাবস পরের ওভারেই তাইজুলের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন স্লিপে। সাদমানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৭ রান করেন স্টাবস।
দ্বিতীয় সেশনে এই দুটি উইকেটই ছিল বাংলাদেশের প্রাপ্তি। তাইজুল চড়াও হন তৃতীয় সেশনে। এই সেশনে একে একে তুলে নেন চার প্রোটিয়া ব্যাটারকে।
তৃতীয় সেশনে তাইজুলের প্রথম শিয়ার ডেভিড বেডিংহ্যাম। তাইজুলের করা বল কাট করতে গিয়ে ১১ রানে কট বিহাইন্ড হন বেডিংহ্যাম। সতীর্থদের আসা-যাওয়া মিছিলে লড়াই করতে চেয়েছিলেন টনি ডি জোর্জি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে শর্ট লেগে ধরা পড়ে থেমে যায় সেই লড়াই। ৭২ বলে ৩০ করে থামেন তিনি।
এরপর ম্যাথু ব্রিটিক্সিকে আউট করে টেস্টে নিজের ২০০তম উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। পরের শিকার রায়ানকে বানিয়ে পূরণ করেন ফাইফার। যা টেস্ট ক্রিকেটে তাইজুলের ১৩তম ফাইফার।