ঢাকা টেস্ট
হাসানের জোড়া উইকেটে স্বস্তি ফিরল বাংলাদেশের
দিনের শুরু থেকেই উইকেটে দাপট দেখাচ্ছিলেন কাইল ভারানে ও মাল্ডার। আগের দিনের থিতু হয়ে যাওয়া জুটিতে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় রান ছাড়িয়ে যায় দুইশর বেশি। অবশেষে জমে যাওয়া এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরালেন হাসান মাহমুদ।
ইনিংসের ৬৫তম ওভারে আক্রমণে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। প্রথমে ৬৪.৫তম ওভারে ভাঙেন মুল্ডারের প্রতিরোধ। মুল্ডারকে স্লিপে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে ১১৯ রানের জুটি ভাঙেন হাসান। ১১২ বলে ৫৪ রান করে মুল্ডার ফিরলে উইকেটে আসেন কেশভ মাহারাজ। তাকে রানের খাতাই খুলতে দেননি হাসান। ঠিক পরের বলেই কেশভকে বোল্ড করে মাঠাছাড়া করেন এই পেসার।
তবে উইকেটে এখনও দাপট দেখাচ্ছেন কাইল ভারানে। তার ব্যাটে চড়ে দলীয় রান ২৩০ ছাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের লিডও ছাড়িয়েছে ১৩০।
বাংলাদেশকে হতাশ করে শুরুটা রাঙাল দক্ষিণ আফ্রিকা
বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দিনের সকালে যত দ্রুত সম্ভব দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করা। কিন্তু স্বাগতিকদের লক্ষ্য ভেস্তে দিয়ে চমৎকার জুটি উপহার দিয়েছেন কাইল ভারানে ও মাল্ডার। আগের দিনের থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটার আজও দাপট দেখাচ্ছেন শেরাবাংলায়। এই জুটিতে ভর করে ঢাকা টেস্টের দিনের সকালটা নিজেদের রঙে রাঙায় সফরকারীরা।
প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৪ রানের লিড নিয়ে আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর শুরু থেকেই দুই ব্যাটার ভারানে ও মাল্ডার খেলছেন হাতখুলে। দুজনের ব্যাটে চড়ে এরই মধ্যে দলীয় রান ২০০ ছাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় লিডও ছাড়িয়েছে একশ। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা শেষে নিজ ভেন্যুতে চাপে বাংলাদেশ।
গতকাল সোমবার টেস্টের প্রথম দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা ছয় ওভার কম হয়। ১৫ মিনিট কম খেলেই ইতি টানতে হয় প্রথম দিনের। সেই সময়টুকু পুষিয়ে দিতে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে ১৫ মিনিট আগে।
এর আগে এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে দ্রুত গুঁড়িয়ে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেরাও ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই হাসান মাহমুদের ভেতরে ঢুকা দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন এইডেন মার্করাম। ৬ রানের বেশি করতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক।
দলীয় ৫০ রানে পরের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২তম ওভারে ট্রিস্টান স্টাবস ফিরিয়ে নিজের উইকেটের খাতা খোলেন তাইজুল। মিরাজের বলে জীবন পাওয়া স্টাবস পরের ওভারেই তাইজুলের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন স্লিপে। সাদমানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৭ রান করেন স্টাবস।
দ্বিতীয় সেশনে এই দুটি উইকেটই ছিল বাংলাদেশের প্রাপ্তি। তাইজুল চড়াও হন তৃতীয় সেশনে। এই সেশনে একে একে তুলে নেন চার প্রোটিয়া ব্যাটারকে।
তৃতীয় সেশনে তাইজুলের প্রথম শিয়ার ডেভিড বেডিংহ্যাম। তাইজুলের করা বল কাট করতে গিয়ে ১১ রানে কট বিহাইন্ড হন বেডিংহ্যাম। সতীর্থদের আসা-যাওয়া মিছিলে লড়াই করতে চেয়েছিলেন টনি ডি জোর্জি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে শর্ট লেগে ধরা পড়ে থেমে যায় সেই লড়াই। ৭২ বলে ৩০ করে থামেন তিনি।
এরপর ম্যাথু ব্রিটিক্সিকে আউট করে টেস্টে নিজের ২০০তম উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তাইজুল। পরের শিকার রায়ানকে বানিয়ে পূরণ করেন ফাইফার। যা টেস্ট ক্রিকেটে তাইজুলের ১৩তম ফাইফার।