গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় সেশনে উইন্ডিজদের শাসন
উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন প্রথম দিনই। দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন জুড়েও চলল তার শাসন। বলছি, ক্যারিবীয় তারকা জাস্টিন গ্রিভসের কথা। যিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার শতকে চড়ে দিনের দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আজ শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে উইন্ডিজদের রান ৮ উইকেটে ৪১৫ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে জাস্টিন গ্রিভস অপ অপরাজিত ১০৯ রানে ও কেমার রোচ ফেরার পর উইকেটে আসা জেইডেন সিলস অপরাজিত ১ রানে।
সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য এনে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। কেমার রোচকে নিজের তৃতীয় উইকেট পেলেন এই পেসার। আজকের দিনের এখন পর্যন্ত ৩টি উইকেটই হাসান নিয়েছেন।
বাংলাদেশের আশা মাড়িয়ে প্রথম সেশন ক্যারিবীয়দের
অ্যান্টিগার ঝলমলে দিনের মতো বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দারুণ উজ্জ্বল। স্বাগতিকদের জোড়া ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় দিনের সকাল শুরু করেন হাসান মাহমুদরা। তবে, সময় গড়াতে সেই উচ্ছ্বাস মিলিয়ে যায় হাওয়ায়। লেজের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাস্টিন গ্রেভস ও কেমার রোচের দৃঢ়তায় অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১১০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৬। ১০৩ বলে দুই চারে ৬৩ রানে ব্যাট করছেন জাস্টিন। রোচ ৭৪ বলে ব্যাট করছেন ১৯ রানে। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য স্রেফ দুই উইকেট।
বাংলাদেশকে হতাশ করে ছুটছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। টানা দুই ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই ক্যারিবিয়ানকে মাঠ ছাড়া করেন হাসান মাহমুদ। জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পর মনে হয়েছিল দ্রুতই ইনিংস গুটিয়ে নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেই আশা ভেস্তে দিয়ে টেলএন্ডারদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে স্বাগতিকরা। আগের দিনের সেট ব্যাটার জাস্টিন গ্রেভস ও কেমার রোচ মিলে এগিয়ে নিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
আজ শনিবার দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে দলীয় রান ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে স্বাগতিকরা। উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশের বোলাররা।
অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল অম্ল-মধুর। এক সেশনে নিজেদের দাপট, দ্বিতীয় সেশন প্রতিপক্ষের। আর শেষ সেশনের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। সবকিছু ছাপিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে প্রথম দিন উঠেছে আড়াইশ রান। আজ দ্বিতীয় দিন স্কোর আরও বড় করার লক্ষ্য স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ উইন্ডিজদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার। যেই লক্ষ্যে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে নেমেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
গতকাল শুক্রবার(২২ নভেম্বর) দিনের শুরুটা নিজেদের রঙে রাঙায় বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুই ও আলিক আথেনেজ। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের পুরোটা ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৫০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকেই আজ দিনের খেলা শুরু করেছে তারা। উইকেটে আছেন আগের দিনের দুই ব্যাটার জশুয়া ডি সিলভা ও জাস্টিন গ্রিভস।
টেস্টের প্রথম দিন টেস্টে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় উইকেটের সুবিধা নিতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মিরাজ। প্রথম সেশনের বোলিংটাও হয় প্রত্যাশামতো। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সেই প্রত্যাশার প্রাপ্তি ক্রমেই মিলিয়ে যায়।
অ্যান্টিগায় আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অবশ্য বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম ওভার মেডিন দিয়ে শুরু করেন হাসান মাহমুদ। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তাসকিন-শরিফুলও। তিন পেসার মিলে রান কম দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
উইকেটের দেখা মেলে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে। ক্যারিবীয়দের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তাসকিন। দারুণ এক ডেলিভারিতে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে মাঠছাড়া করেন তিনি। দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৮ বলে ৪ রান করেন ব্র্যাথওয়েট। ক্যারিবীয় ওপেনারের পর ওয়ানডাউনে নামা কার্টিসকেও বিদায় করেন তাসকিন।
মোট দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ২৩ ওভার ক্যারিবিয়ানদের স্কোরবোর্ডে আসে ৫০ রান। এই সেশনটা মোটামুটি বাংলাদেশেরই দাপট থাকে।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে সেই দাপট হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে মাত্র একটি উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটাও যায় রান আউটে কাটা পড়ে। এই সেশনেও মূলত জুটি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। পেরিয়ে যায় দলীয় শতরান।
প্রথমে কেভিম হজ পরে আলিক আথনেজের সঙ্গে শক্তি জুটি গড়েন মিকাইল লুই। বিশেষ করে লুই ও আলিক মিলে স্বাগতিকদের নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে। মাঝে হজ ২৫ রান করে ফিরলেও বাকি দুজন এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে।
যদিও দুজনের একজনকেও সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ব্যক্তিগত ৯৭ রানে লুইকে থামান মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়কের বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করেন লুই। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপেম ক্যাচ নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি ফিল্ডার শাহাদাত।
২১৮ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ৯৭ রানে থামেন লুই। তার বিদায়ে ভাঙে ১৪০ রানের শক্ত জুটি। লুইয়ের পর নার্ভাস নাইন্টিতে ফেরেন আলিকও। তিনিও পা দেন স্পিনের ফাঁদে। তাইজুলের স্পিনে স্কিপ করতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আলিক। ফলে ১৩০ বলে ৯০ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। দুই সেট ব্যাটার ফেরার পর জশুয়া ডি সিলভা ও জাস্টিনের ব্যাটে দিনের বাকি সময় পার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।