সিরিজ বাঁচাতে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ
সিরিজ শুরুর আগে বেশ আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ দলের কন্ঠে। প্রথম ম্যাচ শেষে সেই আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়েছে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ টেস্টটি তাই বাঁচা-মরার। জিতলে সিরিজে আসবে সমতা। হারলে কিংবা ড্র হলেও হাতছাড়া হবে সিরিজ। এমন সমীকরণ নিয়ে কিংস্টনের সাবিনা পার্কে আগামীকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
পাকিস্তানে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টানা পাঁচ টেস্টে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ হারলে টানা তিন সিরিজে ধবলধোলাই হবে মিরাজ-তাসকিনরা। সেটি এড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে।
বাংলাদেশের মূল সমস্যা ব্যাটিং। প্রতিটি ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যাটাররা। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সে দল পড়ছে বিপদে। যাতে, ম্লান হচ্ছে বোলারদের সাফল্য। অ্যান্টিগা টেস্টেই যেমন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজও মানছেন ব্যাটিং ব্যর্থতার বিষয়টি। তিনি অবশ্য শুনিয়েছেন আশার কথা।
প্রথম ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেছিলেন, ‘আমাদের বোলাররা দারুণ করেছে। তাসকিন ছয় উইকেট পেল। প্রথম ইনিংসে তাইজুলও ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু, ব্যাটাররা ভালো করতে পারেনি। আমরা বেশ কিছু ভুল করেছি। তবে, খেলায় এসব হয়ই। আমরা জানি, ভুলগুলো কোথায়। আশা করি, পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
ভুল শুধরে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা এখন। নাহলে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর হারতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও। অন্যদিকে, বাংলাদেশকে হারানোর ব্যাপারে স্বাগতিকরা আশাবাদী। ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ও সহ-অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা বলেন, ‘আমাদের বোলাররা দারুণ করছে। তরুণরা নিজেদের মেলে ধরতে পারছে। সব ঠিকঠাক থাকলে দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা বাংলাদেশ শিবিরে ভয় ধরাতে পারব। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতাটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড
মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মাহিদুল ইসলাম অংকন, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, শাহাদাত হোসেন দিপু, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, হাসান মুরাদ।