দারুণ জয়ে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালে এনে দিয়েছিলেন ফাহিমা-নাহিদারা। ব্যাট হাতে বাকি দায়িত্ব সামলেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শারমিন সুপ্তা ও ফারজানা হক। গত দুই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের দুই কারিগর আজও গড়ে দিলেন ব্যবধান। সুপ্তা ও ফারজানার ব্যাটিং দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার উচ্ছ্বাসে ভাসল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
প্রথম দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড নারীদের দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। টানা জয়ে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের এবার অতিথিদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। আইরিশদের ৭ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে স্কোরবোর্ডে উইকেটে ১৮৫ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন আইরিশ অধিনায়ক গ্যাভি লুইস।
জবাব দিতে নেমে ৩৭.৩ ওভার সময় নিয়েছে বাংলাদেশ। ফারজানা ও সুপ্তার দৃঢ়তায় ৭৫ বল হাতে রেখেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এই নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানে হারায় ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে। ৮ রানে মুর্শিদা ফেরার পর ওয়ানডাউনে নেমে ফারজানা হকের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন সুপ্তা। যেই জুটিতে চড়েই মূলত জয়ের পথ সহজ করে ফেলে বাংলাদেশ।
গত দুই ম্যাচে দলের হয়ে ভূমিকা রাখা সুপ্তা আজও ছিলেন দুর্দান্ত। দলকে জেতানোর পথে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দলের জয়ের পথে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন শারমিন সুপ্তা। ৮৮ বলে যা সাজানো ১১টি চারে।
সুপ্তা ছাড়াও ওপেনিংয়ে নেমে ৯৯ বলে ৬১ রানের র্দুদান্ত ইনিংস উপহার দেন ফারজানা হক। শেষ দিকে নেমে অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ১৮ রান।
এর আগে আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আয়ারল্যান্ড। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা রাঙাতে পারেনি তারা। বরং দলীয় ৯ রানেই হারিয়ে ফেলে প্রথম উইকেট। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সুলতানা খাতুন ভাঙেন আইরিশদের ওপেনিং জুটি। সুলতানার বলে বোল্ড হয়ে ৫ রানে ফেরেন সারাহ ফোর্বস।
শুরুর জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লুইস ও অ্যামি হান্টার। জমে ওঠা এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া খাতুন। অ্যামিকে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন রাবেয়া। ৫৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা, অ্যামি করেন ২৩ রান।
জোড়া উইকেট হারিয়েও অধিনায়কের ব্যাটে ছুটছিল আইরিশরা। এরমধ্যে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন লুইস। ২৯তম ওভারে অবশেষে ফাহিমা ভাঙেন তার প্রতিরোধ। ফাহিমার বলে বোল্ড হয়ে ৫২ রানে থামেন লুইস। ৭৯ বলে তার ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারিতে।
লুইস ফেরার পর বাকিদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ১৮৫ রানে থামে আইরিশরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২৯ রান খরচা করে দুটি উইকেট নেন সুলতানা খাতুন। ফাহিমা খাতুন নেন তিনটি শিকার। নাহিদার শিকার দুটি। আর স্বর্ণার শিকার একটি করে।