জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত ১০ নভেম্বর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছিল জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। নানা ধাপ পেরিয়ে আজ মাঠে গড়ালো টুর্নামেন্টের ফাইনাল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সিলেট বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ।
গেল নভেম্বর মাসে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিন চলার পর আজ রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামে টুর্নামেন্টের। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। জয়ের নায়ক যুব দলে খেলা ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মূলত বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় মূল পর্ব শুরু হয়। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১০টি বিভাগ মূলত বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ। রাজশাহী, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দুটি করে দল হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের দুটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলছে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হয়েছে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ দল। সেখান থেকেই ফাইনালে উঠেছে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগ।
রবিবার জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী। মিরপুরে সাধারণত টিকিট ছাড়া দর্শকদের জন্য ম্যাচ উপভোগের সুযোগ দেওয়া হয় না। কিন্তু জিয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে হোম অব ক্রিকেট। তবে বিএনপির পরিচিত নেতাকর্মীদের জন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের বসার জন্য ভিআইপি স্ট্যান্ডকে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক এসকে ফাহিম সিনহা, মাহবুব আনাম, কাজী ইনাম আহমেদসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। এছাড়া বিএনপি নেতা ইসরাক, আমিনুল ইসলাম ছাড়াও দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেছেন।
এদিন টস হেরে সিলেটে বিভাগ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায়। ওয়াসিফ আকবরের ব্যাটে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। সিলেটের এই ব্যাটার ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া শাহনাজ আহমেদ ১৭ ও জয়নুল ইসলাম খেলেন অপরাজিত ১৩ রানের ইনিংস। সিলেটের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার অলক কাপালি। ব্যাট হাতে অবশ্য গোল্ডেন ডাক মেরেছেন তিনি। তবে বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি। ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।
১৪৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। তবে যুব বিশ্বকাপ দলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাটে চড়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি রংপুরের। এক প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকলেও মামুনের দায়িত্বশীল ইনংসের উপর ভর করে ৪ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে রংপুর। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকে মামুন আউট হন। ৫৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় মামুন ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন।