ইন্টারনেট ডেটা খরচ ছাড়াই উপায় অ্যাপে লেনদেন
করোনাভাইরাসের কারণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানিগুলোর ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা অনেক বেড়ে গেছে। সরকারি নানা ধরনের ভাতা বিতরণ হচ্ছে এমএফএসের মাধ্যমে। আবার কেনাকাটা, পরিষেবা বিল পরিশোধ, বেতন প্রদান, মোবাইল রিচার্জসহ সবকিছুতেই বাড়ছে এমএফএসের ব্যবহার। ঘরে বসেই গ্রাহকেরা এসব কাজ করতে পারছেন কন্টাক্টলেস পেমেন্ট। আর এসব কাজ করতে গিয়ে তাঁরা ব্যবহার করছেন এমএফএস অ্যাপ।
তবে এসব অ্যাপ ব্যবহার করতে প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট সংযোগের। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, গ্রাহকের ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হয় কিংবা ডেটা প্যাক কেনা থাকে না। ইন্টারনেট না থাকার ফলে তাঁরা অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন না।
আর্থিক সেবাকে সহজলভ্য করতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোও চেষ্টা করছে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী সেবা নিয়ে আসতে।
সম্প্রতি এমনই একটি উদ্ভাবনী সেবা নিয়ে এলো দেশের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। উপায়-এর গ্রামীণফোন গ্রাহকেরা এখন থেকে কোনও প্রকার ডেটা চার্জ ছাড়াই ব্যবহার করতে পারছেন উপায় অ্যাপ। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য উপায় গ্রাহককে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন চালু রাখতে হবে।
বিদ্যমান ১৫টি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একমাত্র উপায়-এর গ্রাহকেরাই ইন্টারনেট ডেটা চার্জ ছাড়াই অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই প্রথম কোনও মোবাইল অ্যাপ ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করছে।
পাশাপাশি গ্রামীণফোনের গ্রাহক সেলফ রেজিস্ট্রশনের মাধ্যমে উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করলেই পাচ্ছেন ২৫ টাকা ক্যাশ রিওয়ার্ড ও তিন দিন মেয়াদে ৫০০ মেগাবাইট ইন্টারনেট প্যাক ফ্রি । নতুন রেজিস্ট্রেশনের সাত দিনের মধ্যে অ্যাপ থেকে ৫০ টাকা বা তার বেশি মোবাইল রিচার্জ করলে পাবেন আরও ২৫ টাকা ক্যাশ রিঅ্যাওয়ার্ড।
উপায়-এর চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার জিয়াউর রহমান বলেন, উপায় গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে এই উদ্ভাবনী সলিউশনস নিয়ে এসেছে; এর ফলে এখন ইন্টারনেট ডেটা শেষ হয়ে গেলেও গ্রাহক উপায় ব্যবহার করে মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্টসহ সকল প্রকার লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
মার্চে যাত্রা শুরু করা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপায় খুব অল্প সময়েই গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ও অন্যান্য সংস্থার সকল প্রকার রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স মেনে তিন মাসেই গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখের বেশি ছাড়িয়ে গেছে।