ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রতিশ্রুতি
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচনে ইতিবাচক পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করা দ্য চেঞ্জ মেকার্স প্যানেল তাদের খসড়া নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য এই খসড়া নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
সদস্য, নীতিনির্ধারক এবং গণমাধ্যমে ই-ক্যাবকে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে খসড়া ইশতেহার ঘোষণা করেছে দ্য চেঞ্জ মেকার্স।
ইশতেহারে সদস্যদেরকে সংগঠনের ‘মূল শক্তি’ বিবেচনায় নিয়ে ই-ক্যাব সদস্যদের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার অঙ্গীকার করেছেন প্যানেল সদস্যরা।
এ সময় তাঁরা বর্তমান সমস্যার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য সে অর্থে ব্যবহার উপযোগী কোনও কার্যালয় নেই। ই-ক্যাব সেক্রেটারিয়েট থেকে সদস্যদের প্রয়োজনীয় সেবা বেশির ভাগ সময়ই প্রদান করা সম্ভব হয় না। ই-ক্যাবের বিভিন্ন কার্যক্রমে সদস্যদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই বললেই চলে। অনেক প্রশ্নবিদ্ধ কোম্পানি থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে স্পন্সরশিপ নেওয়ার কারণে ই-কমার্স খাতের প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় তলানিতে চলে এসেছে। ট্যাক্স ভ্যাট ইস্যুতে ই-ক্যাব থেকে খুব একটা সহযোগিতা সদস্যরা পায় না বললেই চলে। দ্য চেঞ্জ মেকার্স নির্বাচিত হলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসলে প্রথমেই কনফারেন্স রুম, লাউঞ্জ সুবিধাসহ একটি ভালো অফিস সদস্যদের উপহার দিতে চান। সচিবালয়কে শক্তিশালী করতে ২০২৩ সালের মধ্যে একজন নির্বাহী পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সদস্যদের আর্থিক সংস্থানের জন্য কমপক্ষে ছয়টি ব্যাংক থেকে জামানতবিহীন ঋণ বা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ইক্যুইটি ফাইন্যান্সিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আয়কর ও ট্যাক্স বিষয়ে সাপোর্ট দিতে সুনির্দিষ্ট একটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয় এ সময়। প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে সদস্যদের জন্য ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সদস্যদের জন্য মেন্টরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বছর শেষে একটি ই-কমার্স এক্সপো করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয় অনুষ্ঠানে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার এক শতাংশ ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য আদায় করে নেওয়ার।
ধানমণ্ডির একটি রেস্তোরাঁয় এই খসড়া ইশতেহার সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন চেঞ্জ মেকার্স প্যানেলের সদস্য জীশান কিংশুক হক। এসময় আগামীতে পর পর দুইবার কেউ নির্বাচিত হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন সংগঠন বিধিতে এমন পরিবর্তন আনারও ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে প্যানেল প্রার্থী বিপ্লব ঘোষ রাহুলের সঞ্চালনায় একে একে নিজেদের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন প্যানেল সব সদস্যরা।
প্যানেল সদস্য শাফকাত হায়দার, ওয়াসিম আলিম, মো. তাসদীখ হাবীব, জীশান কিংশুক হক, মোজাম্মেল হক মৃধা, আবু সুফিয়ান নিলাভ, বিপ্লব ঘোষ রাহুল, ইলমুল হক সজিব এবং নুসরাত আক্তার লোপা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, এটুআইয়ের হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বক্তব্য দেন।