শেখ রাসেল ওয়েবসাইট এবং অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গ্রহণ করেছে বিশেষ কার্যক্রম।
এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উপলক্ষে শেখ রাসেল ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম-এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর লেখা বই থেকে শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বে যেন আর কোনও শিশুকে শেখ রাসেলের মতো জীবন দিতে না হয়, এ রকম কলঙ্কজনক অধ্যায় যেন আর কেউ তৈরি করতে না পারে, তার জন্য আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোরের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, শেখ রাসেলের সংগ্রামী জীবন এবং তার যে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড, সেটি আমরা তুলে ধরতে চাই।
পরে প্রতিমন্ত্রী শেখ রাসেল দিবসের কর্মসূচি বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং শেখ রাসেল ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ বলেন, পরিবারের সকলের প্রিয় ছোট্ট সোনামণি শেখ রাসেল খুব কম সময়েই তাঁর পিতাকে কাছে পেয়েছেন। তবে ছোটকাল থেকেই তাঁর হাঁটাচলা ছিল বঙ্গবন্ধুর মতো এবং এমনকি পোশাকটিও পরতেন বাবার মতো করে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বলেন, জাতির পিতার অনুপ্রেরণায় ও আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই পরিচালনার দায়িত্বটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে পালন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুইজ প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী উপস্থাপন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম-এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজ (সিসিএ) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিসহ সব মন্ত্রণালয় এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় শেখ রাসেল দিবসের অংশ হিসেবে শেখ রাসেল (www.sheikhrussel.gov.bd ) নামক একটি ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিশু-কিশোর তথা বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে পারবে।
দুরন্ত, প্রাণবন্ত শেখ রাসেলের জন্ম, শৈশব, শিক্ষাজীবন, স্বপ্ন, ভ্রমণ, পরিবার, পছন্দ, তাঁর ওপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তসহ বিভিন্ন বিষয় তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হচ্ছে শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা। মূলত উল্লেখিত বিষয়সমূহ থেকে প্রশ্ন নির্ধারণ করা হবে উক্ত প্রতিযোগিতায়। প্রথমে, আগ্রহী শিশু-কিশোরদের নিবন্ধনের জন্য ভিজিট করতে হবে quiz.sheikhrussel.gov.bd এই ঠিকানায়। এই প্রতিযোগিতায় ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যকার যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, এই আয়োজনে অংশ নিতে বয়সভিত্তিক ক ও খ নামক দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধনকারীর বয়স গ্রুপ ক-এর ক্ষেত্রে ৮-১২ বছর এবং গ্রুপ খ-এর ক্ষেত্রে ১৩-১৮ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে ১১ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।
পরবর্তীতে, গ্রুপ ক অর্থাৎ ৮-১২ বছর বয়সের নিবন্ধনকারীরা ১২ অক্টোবর ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনও ১০ মিনিট এবং গ্রুপ খ অর্থাৎ ১৩-১৮ বছর বয়সের নিবন্ধনকারীরা ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনও ১০ মিনিট সময়ে অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এমসিকিউ পদ্ধতিতে সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য চারটি বিকল্প থেকে একটি সঠিক উত্তর বাছাই করতে হবে। কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক উত্তরদাতা থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। তবে চূড়ান্ত বিজয়ীদের ক্ষেত্রে বয়স যাচাই সাপেক্ষে পুরস্কার প্রদান করা হবে। ক ও খ দুটো গ্রুপ থেকেই ৫ জন করে অর্থাৎ মোট ১০ বিজয়ীর প্রত্যেককে দেওয়া হবে কোর আই ৭-১১ জেনারেশন মানের ল্যাপটপ। তবে একজন প্রতিযোগী একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করলে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে।